গণমাধ্যম থেকে একরকম পালিয়ে ছিলেন তিনি। বিশ্বকাপের মূল পর্ব শুরুর পর থেকেই তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না সংবাদ সম্মেলন সম্মেনে কক্ষে। তার নেতৃত্ব আর দলের একের পর এক হারে বিচলিত মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ হয়তো আড়ালেই থাকতে চেয়েছেন। কারণ পরিস্থিতি এখন এমন হয়েছে যে কথা বললেই বিতর্ক। সেই বির্তকের আগুনে ঘি দেওয়ার চেয়ে চুপ থাকাই শ্রেয়। কিন্তু শুক্রবার ঠিকই দেখা মিলল তার।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সুপার টুয়েলভের ম্যাচ শেষে শুক্রবার জয়ের পথ তৈরি করেও জেতা হয়নি। শারজাহ ক্রিকেটে স্টেডিয়ামে আরও একটি ম্যাচ হারল বাংলাদেশ, যেটি দল জিততেও পারতো। একদম শেষ ওভারে এসে ১৩ রানের যে সমীকরণ ছিল সেটা ঠিক মেলানো হয়নি! ৩ রানের হারে বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালে খেলার স্বপ্নটাও ভাঙল মাহমুদউল্লাহ রিয়াদদের। 

ওয়েস্ট ইন্ডিজ যে ১৪৩ রানের চ্যালেঞ্জ দিয়েছিল সেটা কী বেশি হয়ে গেলো? মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এমন প্রশ্নের মুখে পড়েছিলেন, 
‘উইকেট কিছুটা ডিফিকাল্ট ছিল। কারণ আমরা যখন বোলিং শুরু করেছিলাম তো যখন ব্যাক অব লেন্থে বোলিং করা হচ্ছিল তো উইকেটে বলও সেভাবে আসছিল না, বলও বাউন্স হচ্ছিল না, উইকেটও কিছুটা লো ছিল। এটা আমরা বুঝতে পেরেছিলাম, সেভাবেই বোলিং করছিলাম আমরা। বোলাররা ভালোই করছিল। আমার মনে হয় যে এক দুইটা চান্স এসেছিল সেগুলো যদি নিতে পারতাম তাহলে অন্তত দশটা রান কম হতো কম হতো।’ 

সেমি-ফাইনালে খেলার স্বপ্ন নিয়ে বিশ্বকাপ মিশনে দেশ ছেড়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। কিন্তু দুই ম্যাচ আগেই সেই স্বপ্নের মৃত্যু হয়েছে। এরপর আরও দুটি ম্যাচ বাংলাদেশের সামনে। দক্ষিণ আফ্রিকা-অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ দু’টি অবশ্য শুধুই আনুষ্ঠানিকতা। 

টুর্নামেন্টে আর কী পেতে চান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ? বাংলাদেশ অধিনায়ক হতাশা চাপা দিয়ে বলছিলেন, ‘দেখুন, এখনও অনেক কিছুই পাওয়ার আছে। যদিও সেমিফাইনালের আশাটা ক্ষীণ হয়ে গেছে কিন্তু দুইটা ম্যাচ আছে। এই দুইটা ম্যাচ যদি জিততে পারি ইনশা আল্লাহ দলের জন্য ভালো কিছু একটা হবে এবং আমরা চেষ্টা করছি সবাই, মরিয়া হয়েই চেষ্টা করছি। মাঠে শতভাগ দেয়ার কমিটমেন্ট দেয়ারই চেষ্টা করছি তবে ভুল হচ্ছে কিন্তু দুটো ম্যাচ জেতার চেষ্টা করব।’

যা হওয়ার হয়ে গেছে। এখন হাল ছেড়ে দেওয়া মানে ব্যর্থতা আর বেশি গ্রাস করা। ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিটা ধরে রাখতে চান তিনি। শেষ দুই ম্যাচে হারের এই বৃত্ত থেকে বেরিয়ে আসার সংগ্রামটাও চলবে বাংলাদেশের।

এটি/এনইউ