অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত জানানোর সময় জানিয়েছিলেন ইংল্যান্ডকে রান-পাহাড়ে চাপা দেওয়ার ইচ্ছের কথা। কিন্তু ওপেনাররা অন্তত সে পথে হাঁটতে পারলেন না। শুরুর তিন ওভারেই দুই ওপেনারকে হারিয়ে ফেলেছে বাংলাদেশ। এর কিছু পর সাকিব আল হাসানও হাঁটলেন একই পথে। তাতে পাওয়ার প্লেতেই বিপদে পড়ে গেছে বাংলাদেশ দল।

শুরুর ওভারে হতাশা ঝেড়ে ফেলে দারুণ কিছুরই আভাস দিয়েছিলেন লিটন। মঈন আলিকে প্রথম ওভারেই মেরেছিলেন দুটো চার। পরের ওভারে ক্রিস ওকস দিয়ে গেলেন তিন রান। তাতে দুই ওপেনার কিছুটা চাপেও পড়ে গেলেন হয়তো। তৃতীয় ওভারে মঈনকেই তাই আড়াআড়ি ব্যাটে খেলে চাপটা কমাতে চেয়েছিলেন লিটন, ব্যাটে বলে হয়নি, টপ এজ হয়ে বলটা গিয়ে জমা পড়ে স্কয়ার লেগে থাকা লিয়াম লিভিংস্টোনের হাতে। 

এরপর নাঈমও হাঁটলেন একই পথে। মিড অনের ফিল্ডারের ওপর দিয়ে বাউন্ডারি হাঁকাতে চেয়েছিলেন, কিন্তু তা হয়নি। ক্রিস ওকসের হাতে ধরা পড়ে বিদায় নেন তিনি। 

সাকিবও বিদায় নিয়েছেন এর কিছু পরেই। ওকসের লেগ স্টাম্পে করা বলটা ঠিকঠাক ব্যাটে বলে করতে পারেননি সাকিব, খেসারত দিয়েছেন উইকেটটা খুইয়ে। এতে আদিল রশিদের ফিল্ডিংয়েরও কৃতিত্ব আছে বৈকি! শর্ট ফাইন লেগে দ্রুত দৌড়ে গিয়ে দারুণ এক ক্যাচই বিদায় ঘণ্টা বাজিয়ে দিয়েছে তার।