বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভ পর্ব বেশ চ্যালেঞ্জিং। প্রতিটি গ্রুপে ৬টি করে দল। যেখানে এক গ্রুপ থেকে ২টি দল খেলবে সেমিফাইনাল। বাকি ৪ দলকে ধরতে হবে বাড়ির পথ। এই পর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে হেরে কিছুটা পিছিয়ে পড়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা আর ওয়েস্ট ইন্ডিজ। প্রথম জয়ের খোঁজে আজ (মঙ্গলবার) একে অন্যের মুখোমুখি হয়েছিল দুই দল। যেখানে প্রোটিয়াদের বাজিমাত। উইন্ডিজকে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে তারা।

ম্যাচে আগে ব্যাট করে এভিন লুইসের ফিফটিতে ১৪৩ রানের পুঁজি পায় ক্যারিবীয়রা। ১৪৪ রানের লক্ষ্য টপকাতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি দক্ষিণ আফ্রিকার। ইনিংসের প্রথম ওভারেই রান আউটের শিকার হন অধিনায়ক তেম্বা বাভুমা। ৩ বলে ২ রান করে ফেরেন তিনি। দ্বিতীয় উইকেটে ৫৭ রানের পার্টনারশিপ গড়ে দলকে টেনে তোলেন রেজা হেনডিক্স আর ভ্যান ডার ডুসেন। ৩০ বল খেলে রেজা ৩৯ রান করে আউট হলে ভাঙে তাদের এই পার্টনারশিপ।

এরপর দলকে আর বিপদে পড়তে দেননি ডুসেন। এইডেন মার্করামকে সঙ্গে নিয়ে জয়ের বাকি পথ পাড়ি দেন তিনি। যদিও অবিচ্ছেদ্য ৮৩ রানের পার্টনারশিপে মার্করামের অবদানই ৫১ রান। ঝোড়ো গতিতে ফিফটি তুলে নেন মার্করাম। ২৬ বলে ৫১ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। সঙ্গে ডুসেন খেলেন ৫১ বলে ৪৩ রানের ইনিংস। এতে ৮ উইকেট ও ১০ বল হাতে রেখেই জয় পায় দক্ষিণ আফ্রিকা। 

এর আগে টস হেরে ব্যাট করেত নেমে ভালো শুরু পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ম্যাচের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হাত খুলে খেলতে থাকেন ওপেনার এভিন লুইস। তবে অন্য প্রান্তে সুবিধা করতে পারেননি লেন্ডল সিমন্স। দুই ব্যাটসম্যানের পার্টনারশিপে পাওয়ার-প্লের ৬ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে স্কোর বোর্ডে ওঠে ৪৩ রান। 

ইনিংসের দশম ওভারে প্রোটিয়া স্পিনার শামসিকে ছক্কা হাঁকিয়ে ফিফটি তুলে নেন লুইস। তার অর্ধশতক আসে মাত্র ৩২ বলে। তবে ইনিংসটিকে আর বেশিদূর টানতে পারেননি লুইস। কেশভ মাহারাজের বলে আউট হন ৫৬ রান করে। ৩৫ বলের ইনিংসটি সাজান ৩টি চার ও ৬টি ছয়ের মারে। লুইস যেখানে ঝোড়ো ব্যাটিং করেন, সেখানে টেস্ট সূলভ ব্যাটিং করেন সিমন্স। ইনিংসের ১৪তম ওভারে রাবাদার বলে বোল্ড হন ৩৫ বলে মাত্র ১৬ রান করে। 

তার আগেই অবশ্য মাহারাজের দ্বিতীয় শিকার বনে যান নিকোলাস পুরান। তার ব্যাট থেকে আসে ১২ রান। সুবিধা করতে পারেননি ক্রিস গেইল, আন্দ্রে রাসেল। গেইল ১২ বলে ১২ ও রাসেল ফেরেন ৪ বলে ৫ রান করে। রান আউটে কাটা পড়া হেটমায়ার রানের খাতা খুলতে পারেননি। শেষদিকে অধিনায়ক পোলার্ডের ২০ বলে ২৬ রানের ইনিংসের কল্যাণে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে স্কোর বোর্ডে ১৪৩ রান তুলতে পারে উইন্ডিজ।

টিআইএস/জেএস