ব্যাটারদের দুরন্তপনায় ম্যাচের প্রথমার্ধেই ম্যাচের লাগামটা হাতে তুলে নিয়েছিল আফগানিস্তান। তবে বোলাররাও কম যাননি, বরং ক্ষেত্রবিশেষে ছাপিয়ে গেলেন কিনা তা নিয়েও হতে পারে আলোচনা। মুজিব উর রহমান আর রশিদ খানের স্পিনেরই যে জবাব দিতে পারল না স্কটল্যান্ড!

মুজিবের পাঁচ উইকেটে ধসে পড়ল স্কটিশ টপ অর্ডার। চার উইকেট তুলে লেজটা মুড়ে দেওয়ার কাজ সারলেন রশিদ। তাতে বিশ্বকাপে নিজেদের উদ্বোধনী ম্যাচে ১৩০ রানের দাপুটে জয় পেয়েছে আফগানরা।

শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এদিন টসটাও জিতেছে আফগানিস্তান। প্রতিপক্ষের ওপর বড় রানের পাহাড় চাপিয়ে দেওয়ার অভিপ্রায় থেকেই যে এ সিদ্ধান্ত, তা বলাই বাহুল্য। ব্যাটাররা অধিনায়ক মোহাম্মদ নবীর সে ইচ্ছেও পূরণ করেছেন দারুণভাবেই। মিচেল লিস্কের দ্বিতীয় ওভারে এল ১৮, সেই যে আফগান রান-বন্যার শুরু, ইনিংসের শেষ পর্যন্ত আর তাতে আর বাঁধই দিতে পারল না স্কটিশরা। 

উদ্বোধনী জুটিতে ৫৪ রান তোলেন জযরতউল্লাহ যাযাই, আও মোহাম্মদ শাহজাদ। দলকে বড় রানের ভিত দিয়ে পাওয়ারপ্লের শেষ ওভারে শাহজাদ ফেরেন ১৫ বলে ২২ রান করে।

পাওয়ারপ্লে শেষ, তার ওপর উদ্বোধনী ব্যাটারকেও হারিয়ে ফেলেছিল আফগানরা, রানের সুতোয় ঢিল পড়ার একটা সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল তাতে। তবে সে শঙ্কা উড়িয়ে উলটো গুরবাজকে নিয়ে ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন যাযাই। যদিও ৬ রানের জন্য অর্ধশতকের স্বাদ পাননি তিনি, ৩০ বল খেলে সাজঘরে ফেরার আগে যাযাই করেন ৪৪ রান।

দলীয় ৮২ রানে যাযাই ফিরলে ক্রিজে আসেন নাজিবউল্লাহ জাদরান। গুরবাজকে সঙ্গে নিয়ে ১৯ ওভার পর্যন্ত রীতিমতো শাসিয়েছেন স্কটিশ বোলারদের৷ ১৯তম ওভারে গুরবাজ ফেরেন ৪৬ রানে। তবে নাজিবউল্লাহ ফিফটির দেখা পেয়েছেন। শেষে ৩৪ বলে ৫৯ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন তিনি। সঙ্গে নবীর ৪ বলে ১১ রানের ক্যামিওতে শেষমেশ ৪ উইকেট হারিয়ে আফগানদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৯০ রান।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালোই পেয়েছিল স্কটিশরা। ৩.১ ওভারেই তুলে ফেলেছিল ২৮ রান। তবে এরপরই শুরু মুজিব জাদুর। দলীয় ২৮ রানে প্রথম উইকেট হারায় স্কটল্যান্ড। এরপর সেই মুজিবের ঘূর্ণিতে নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট হারিয়েছে দলটি। 

২০ রানে ৫ উইকেট নিয়ে স্কটল্যান্ড টপ অর্ডার গুড়িয়ে দেন মুজিব। এরপর রশিদ খান আক্রমণে এসে ২.২ ওভারেই তুলে নেন ৪ উইকেট, তাও মাত্র ৯ রান খরচায়। তাতেই আফগানিস্তান পায় ১৩০ রানের বিশাল এক জয়।

এনইউ/এমএইচএস