ফিফটি করে দলকে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দিয়েছেন কোহলি/গেটিইমেজ

ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ মানেই যেন সেয়ানে সেয়ানে লড়াই। দুই দলের মাঠের যুদ্ধে কেউ কাউকে ছেড়ে কথা বলতে নারাজ। তবে বিশ্বকাপ মঞ্চে একেবারেই ভিন্ন রূপ। পাকিস্তানের বিপক্ষে একচেটিয়া দাপট ভারতের। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে নিদারুণ অবস্থা পাকিস্তানের। কুড়ি ওভারের প্রথম বিশ্বকাপ অর্থাৎ ২০০৭ সালে পাকিস্তানকে হারিয়েই বিশ্বকাপ জয় করেছিল ভারত। সব মিলিয়ে এই ফরম্যাটের বিশ্বকাপে খেলা ৫ ম্যাচের ৫টিতেই হার পাকিস্তানের। এবার ইতিহাস বদলানোর সুযোগ তাদের সামনে।

ইতিহাস গড়তে পাকিস্তানের প্রয়োজন ১৫২ রান। চলতি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভ পর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত-পাকিস্তান। এ ম্যাচে আগে ব্যাট করে স্কোর বোর্ডে ১৫১ রানের পুঁজি পেয়েছে ভারত। ইতিহাস গড়তে বাবর আজমের দলকে করতে হবে ১৫২ রান।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস ভাগ্য পাকিস্তানের পক্ষে যায়। তবে নিজেরা আগে ব্যাট না করে প্রতিপক্ষকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানান বাবর। অধিনায়কের সিদ্ধান্ত যে সঠিক ছিল, সেটি প্রমাণ দিতে শুরুতেই ভারতীয় ওপেনার রোহিত শর্মার উইকেট তুলে নেন শাহীন আফ্রিদি। নিজের খেলা প্রথম বলেই শূন্য হাতে সাজঘরে ফেরেন রোহিত। সুবিধা করতে পারেননি ইনফর্ম ব্যাটসম্যান লোকেশ রাহুলও। আফ্রিদির দ্বিতীয় শিকার হন ৩ রান করে।

সূর্যকুমার যাদব ১১ রান করে আউট হলে দলীয় ৩১ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে ভারত। সেখান থেকে দলকে টেনে তোলেন অধিনায়ক বিরাট কোহলি ও ঋষভ পান্ত। চতুর্থ উইকেটে দুজন যোগ করেন ৫৩ রান। শাদাব খানের বলে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে পান্ট ৩৯ রানে আউট হলে ভাঙে তাদের জুটি। সমান ২টি করে চার-ছক্কায় ৩০ বলের ইনিংসটি সাজান পান্ট।

পরে রবীন্দ্র জাদেজাকে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন কোহলি। ওয়ানডে স্টাইলে ব্যাট করে ৪৫ বলে ফিফটির স্বাদ পান ভারতীয় অধিনায়ক। এতে রেকর্ড বুকে জায়গা করেন নেন তিনি। মাহেলা জয়াবর্ধনেকে (৯) ছাড়িয়ে টি-টোয়েন্টিতে এখন সর্বাধিক ১০টি ফিফটি কোহলির দখলে। সে ইনিংসটি অবশ্য আর বড় করতে পারেননি কোহলি। আফ্রিদির তৃতীয় শিকার হন ৫৭ রানে। ৪৯ বল খেলে ৫টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন তিনি।

সুবিধা করতে পারেননি জাদেজা, হাসান আলীর দ্বিতীয় শিকার হন ১৩ রান করে। পরে হার্দিক পান্ডিয়া ১১ রান করে ফিরলে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫১ রানের পুঁজি পায় ভারত। ইতিহাস গড়তে পাকিস্তানের প্রয়োজন ১৫২ রান। পাকিস্তানের হয়ে আফ্রিদি সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নেন।

টিআইএস/জেএস