ইনশা’আল্লাহ, কাল পাকিস্তান অবশ্যই ভারতকে হারাবে
বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচ, সে ম্যাচেই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের মুখোমুখি পাকিস্তান। পাকিস্তান-ভারতের সংবাদ মাধ্যম তো বটেই, বিশ্ব গণমাধ্যমেও এ ম্যাচ নিয়ে জল্পনা কল্পনার শেষ নেই। সে জল্পনা-কল্পনায় এবার শামিল হলেন খোদ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানও। জানালেন তার পাকিস্তান আগামীকাল ভারতকে হারাবে।
প্রধানমন্ত্রী দলকে এই মহারণের আগে শুভকামনা জানালেন। এক বক্তব্যে তিনি বাবর আজমদের সম্পর্কে জানান, ‘পাকিস্তানের এই দলের ভারতকে হারানোর মতো যথেষ্ট প্রতিভা আছে। ইনশা’আল্লাহ, আগামীকাল পাকিস্তান ভারতকে অবশ্যই হারাবে।’
বিজ্ঞাপন
তবে ইতিহাস পাকিস্তানের পক্ষে কথা বলছে না মোটেও। ওয়ানডে বিশ্বকাপে সাত, আর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাঁচ ম্যাচ খেলে হেরেছে সবকটিতেই। দলের অধিনায়ক বাবর আজম অবশ্য জানালেন, অতীত নিয়ে ভাবছেন না তিনি, তার দলও নয়।
তিনি আরও জানালেন, অতীত তার দলের কাছে কোনো অর্থই বহন করছে না এখন। তিনি বললেন, ‘সত্যি বলতে, যা হয়ে গেছে, তা আমাদের ধরাছোঁয়ার বাইরে। আমরা সেই ম্যাচে আমাদের সামর্থ্য আর আত্মবিশ্বাস অনুযায়ী খেলতে চাই, যেন শ্রেয়তর ফলাফল আসে। আর রেকর্ডের কথা বলছেন? রেকর্ড তো গড়াই হয় ভাঙার জন্য!’
এ ম্যাচ নিয়ে দর্শকদের চাহিদাও তুঙ্গে। জনসাধারনের জন্য টিকিট উন্মুক্ত করে দেওয়ার ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই বিক্রি হয়ে গেছে সব টিকিট। হাজার হোক, দুই বছর পর আবারও বিশ্বমঞ্চে মুখোমুখি দুই দল, তা নিয়ে আগ্রহ তো এমন আকাশছোঁয়াই হওয়ার কথা।
শেষ এক যুগে দুই দেশের সামগ্রিক সম্পর্কের গ্রাফও নিম্নমুখী। রাজনৈতিক বিভিন্ন কারণে আইপিএলে পাকিস্তানিদের দেখা যাচ্ছে না সেই ২০০৮ আসরের পর থেকে। দীর্ঘ বিরতির পর ২০১২ সালে ভারত সফর করেছিল পাকিস্তান, তবে এরপর থেকে দ্বিপাক্ষিক সিরিজও হচ্ছে না আর। তাই এখন আইসিসি ইভেন্টেই একমাত্র এই মহারণের দেখা মেলে। আর সে কারণেই এই ম্যাচ নিয়ে বিভিন্ন মহলের আলোচনা দলদুটোর ওপরও চাপ বাড়ায় বেশ।
সে বিষয়ে ম্যাচের আগে দলকেও সতর্ক করে দিলেন অধিনায়ক বাবর। বললেন, ‘ভারত পাকিস্তানের ম্যাচগুলো সবসময়ই বেশ তীব্রতা নিয়ে আসে। সে কারণেই এ ম্যাচটা জিততে হলে তিন বিভাগ, ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিংয়ের সবকটিতে ভালো করতে হবে আমাদের।’
এনইউ