সাকিবের মতো পারফর্মার পাওয়া বাংলাদেশের জন্য সৌভাগ্যের
সাকিব আল হাসান, বাংলাদেশ ক্রিকেটের পোস্টারবয়। বিশ্ব ক্রিকেটেও বেশ নামডাক তার। বাইশ গজের ক্রিকেটে তার পদচারণা মানেই যেন রেকর্ড বইয়ের পাতা উল্টোপাল্টা হওয়া। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে খুব বেশি ছন্দে ছিলেন না সাকিব। দেশের জার্সি গায়ে চাপিয়েই হয়ে উঠেছেন অপ্রতিরোধ্য। সাকিবের প্রশংসায় পঞ্চমুখ বাংলাদেশ দলের টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
প্রথম ম্যাচে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে বোলিংটা যুতসই ছিল সাকিব আল হাসানের। তবে ব্যাটিংয়ে ক্লান্তির ছাপ ছিল স্পষ্ট। তবে এরপরের ম্যাচ থেকে ব্যাট হাতেও ফিরেছেন ছন্দে। বল হাতে তো ছন্দে ছিলেনই। সে ধারাটা ধরে রাখলেন পাপুয়া নিউ গিনির বিপক্ষেও। ব্যাটিংয়ে ৩৭ বলে ৪৬ রানের ইনিংসের পর বোলিংয়ে নিজের সেরা পারফরর্ম্যান্সকেই ছাড়িয়ে গেছেন সাকিব। ৪ ওভার শেষে ৯ রান দিয়ে শিকার করেছেন ৪ উইকেট।
বিজ্ঞাপন
সাকিবকে চ্যাম্পিয়ন খেলোয়াড় আখ্যায়িত করে মাহমুদউল্লাহ বললেন, ‘আমি তো সবসময় বলি সাকিব বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়ন প্লেয়ার। তার মত পারফর্মার পাওয়া বাংলাদেশ দলের সৌভাগ্য। পুরো ক্যারিয়ার জুড়েই সে কি দুর্দান্ত! সে একজন চ্যাম্পিয়ন।’
বিশ্বকাপ শুরুর আগে বেশ কিছু রেকর্ড হাতছানি দিয়ে ডাকছিল সাকিবকে। প্রথম ম্যাচেই লাসিথ মালিঙ্গাকে ছুঁয়ে বনে গিয়েছিলেন টি-টোয়েন্টির সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী। এবার শহিদ আফ্রিদির বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ উইকেটের রেকর্ডে ভাগ বসালেন সময়ের সেরা এই অলরাউন্ডার। সাকিব ব্যাটে-বলে আলো ছড়ালেও ব্যর্থতার বৃত্তে আটকা লিটন দাস, মুশফিকুর রহিম। এইপিএল থেকে ফেরা মুস্তাফিজুর রহমানকেও পাওয়া যাচ্ছে না স্বরূপে।
তবে তাদের নিয়ে দুশ্চিন্তা করছেন না মাহমুদউল্লাহ, ‘লিটনের সামর্থ্য সম্পর্কে আমরা জানি, সবাই ওর পাশে আছি। ওর যে স্কিল আছে, এই পর্যায়ে পারফর্ম করার জন্য যথেষ্ট। প্রতিদিন কষ্ট করছে। আমাদের কাউকে নিয়েই দুশ্চিন্তা নেই। মুশফিককে নিয়েও না, মুস্তাফিজকে নিয়েও না। তারা দুর্দান্ত খেলোয়াড়। কয়েকটা ম্যাচে পারফর্ম না করায় আমরা বিশ্বাস হারাচ্ছি না। বাইরে যারা আছে ওরা হয়ত বিশ্বাস হারাতে পারে। আমরা ওদের সাথে আছি।’
টিআইএস/এনইউ