পাপনের মন্তব্যে মুষড়ে পড়েছেন মাহমুদউল্লাহরা
টানা দুই প্রস্তুতি ম্যাচ হারের পর বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ৬ রানে হার। এতে গেল গেল রব উঠল চারিদিক। একে তো বিশ্বকাপের মঞ্চে স্কটল্যান্ডের কাছে হার, বিমর্ষ গোটা দল। এর মধ্যে বিস্ফোরক মন্তব্য করে বসেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। কাঠগড়ায় তোলেন দলের তিন সিনিয়র ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মুশফিকুর রহিমকে।
দলের বাজে পারফরম্যান্সে রুদ্রমূর্তি ধারণ করেন পাপন। তাৎক্ষণিক জানতে চান ব্যর্থতার কারণ। সে সবই কানে গেছে মাহমুদউল্লাহদের। এতে গোটা দলই মুষড়ে পড়েছে আরও। পাপুয়া নিউ গিনিকে হারিয়ে সুপার টুয়েলভ নিশ্চিত করার পর আবেগ নিয়ন্ত্রণে না রাখতে পেরে সে কথা সংবাদমাধ্যমকে বললেন মাহমুদউল্লাহ।
বিজ্ঞাপন
মাহমুদউল্লাহ বলেন, ‘স্পর্শ সবই করে। আমরাও মানুষ, আমাদের অনুভূতি কাজ করে। আমাদের পরিবার আছে, সবারই পরিবার আছে। আমাদের বাবা-মায়েরা বসে থাকে টিভি সেটের সামনে, সন্তানরা বসে থাকে। তারা মন খারাপ করে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম তো এখন হাতের নাগালে, সবারই মোবাইল আছে। সমালোচনা তো হবেই। আমরাও আশা করি সমালোচনা, খারাপ খেলেছি সমালোচনা তো হবেই। কেন হবে না? কিন্তু সমালোচনার মাধ্যমে যখন কেউ কাউকে ছোট করে ফেলে তখন ওগুলো খুব খারাপ লাগে।’
তাদের দিকে ছোঁড়া প্রশ্ন প্রসঙ্গে বললেন, ‘অনেক প্রশ্ন এসেছে আমাদের স্ট্রাইকরেট, আমাদের তিনজন সিনিয়র ক্রিকেটারের স্ট্রাইক রেট নিয়ে। আমরা তো চেষ্টা করেছি। চেষ্টার বাইরে তো আমাদের কাছে কিছু নেই। এমন না যে আমরা চেষ্টা করিনি। আপ্রাণ চেষ্টা করেছি। হয়তোবা রেজাল্ট আমাদের পক্ষে আনতে পারেনি। সমালোচনা পাওয়া অবশ্যই আমাদের কাম্য, সমালোচনা হবেই। কিন্তু আরেকটু যদি স্বাস্থ্যকর হয়, আমার মনে হয় সবার জন্যই ভালো।’
কথাগুলো বলতে গিয়ে গলা ধরে আসছিল টাইগার দলপতির। কতটা ত্যাগ আর অনুভূতি লুকিয়ে দেশের জার্সির জন্য লড়ার করেন ক্রিকেটাররা, সেটিও সামনে আনেন।
মাহমুদউল্লাহ জবাব, ‘বাংলাদেশের জার্সিটা যখন গায়ে জড়াই আমাদেরও অনুভূতি হয়। দেশের জন্য সবই থাকে। ব্যথা থাকে, কারো অনেক ধরনের ইনজুরি থাকে। আমরা ওগুলো নিয়েই খেলি। দিনের পর দিন ব্যথানাশক ওষুধ খেয়েও খেলি। ভেতরের খবর অনেকেই জানে না। তো আমার মনে এগুলো নিয়ে কমেন্ট করা ঠিক না।’
টিআইএস/এনইউ