সাকিব হাসলেই বাংলাদেশ হাসে
প্রথম ম্যাচে জ্বলে উঠতে পারেননি, বরং দলের হারের একটা দায় ছিল তার কাঁধেও। দ্বিতীয় ম্যাচে সাকিব আল হাসান হাসলেন; ব্যাট হাতেও, এরপর বল হাতেও। তাতেই বাংলাদেশ পেল স্বস্তির এক জয়।
আইসিসির টুর্নামেন্টে তো এমন কিছু বাংলাদেশের নিয়তিই! না অত্যুক্তি নয় মোটেও। বাংলাদেশ কোনো আইসিসি টুর্নামেন্টের ম্যাচ জিতছে, আর সাকিব ম্যান অফ দ্য ম্যাচ হননি, এমন দৃশ্য অন্তত শেষ পাঁচ বছরে ঘটেনি।
বিজ্ঞাপন
পরিসংখ্যান দেখুন। শেষ পাঁচ বছর, অর্থাৎ ২০১৬ এর ২০ অক্টোবর থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত বাংলাদেশ এই নিয়ে তিনটি আইসিসি টুর্নামেন্টে অংশ নিচ্ছে। এ সময় লাল সবুজের প্রতিনিধিরা ম্যাচ জিতেছে পাঁচটি। ওমানের বিপক্ষে চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ম্যাচটা, ২০১৯ আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপে তিনটে, আর ২০১৭ সালে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেই অবিস্মরণীয় প্রত্যাবর্তনের ম্যাচটা।
সেই পাঁচ ম্যাচেই সাকিবের হাতে উঠেছে ম্যাচসেরার পুরস্কার। ওমানের বিপক্ষে ব্যাট হাতে ৪২, আর বল হাতে ২৮ রানে তিন উইকেটের সুবাদে পেয়েছেন স্বীকৃতিটা। এর আগে ২০১৯ বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ব্যাট হাতে ১২৪ রানের অপরাজিত ইনিংস, আর বল হাতে ৫৪ রান খরচায় দুটো উইকেট। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ফিফটি আর পাঁচ উইকেটের অনবদ্য কারিশমা দেখিয়ে, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৭৫ রানের ইনিংস আর একটা উইকেট শিকার করে বগলদাবা করেছিলেন পুরস্কারটা।
এর আগে ২০১৭ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে সঙ্গে নিয়ে সেই জুটিতে নিজে করেছিলেন দারুণ এক কাউন্টার অ্যাটাকিং সেঞ্চুরি। যারই সুবাদে জেতেন ম্যাচসেরার পুরস্কারটাও।
আইসিসি ইভেন্টে প্রথম ম্যাচসেরার পুরস্কারটা জিততে সাকিবকে অপেক্ষা করতে হয়েছিল প্রায় সাত বছর। প্রথমটা জিতেছিলেন ২০১৪ বিশ্বকাপে আফগানদের বিপক্ষে। এর পরেরটা আসে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। এরপর থেকে আইসিসি ইভেন্টে নিয়মিতই তার হাতে আসছে এ পুরস্কারটা। শেষ পাঁচ জয়ের পাঁচটা ম্যাচসেরা প্রমাণ দেয় তারই। পরের কয়েকটাও যে এ আসরেই চাইবেন সাকিব, তা বলাই বাহুল্য। সেটা হলেই যে বাংলাদেশের লক্ষ্যপূরণের কাজটা সহজ হয়ে যায় আরও!