চার উইকেট শিকার করেছেন জিশান (বাম থেকে দ্বিতীয়)/ক্রিকইনফো

স্বাগতিক ওমানের অধিনায়ক তিনি। মাঠের পারফর্ম্যান্সেও তিনিই দলকে নেতৃত্ব দিলেন। জিশান মাকসুদের দখলে গেল চার উইকেট। তাতে বড় স্কোরের আশা জাগানো পাপুয়া নিউ গিনির ইনিংসটা শেষমেশ আটকে গেল ১২৯ রানেই। সপ্তম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচটা জিততে তাই স্বাগতিকদের চাই মাত্র ১৩০ রান।

আল আমেরাত স্টেডিয়ামে উদ্বোধনী ম্যাচের শুরুতেই জয়ীর হাসি হেসেছিলেন জিশান। জিতেছিলেন টসে, নিয়েছিলেন ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত। অধিনায়কের সে সিদ্ধান্ত যে ভুল কিছু ছিল না, সেটার প্রমাণ যেন মিলল শুরুর দুই ওভারেই। প্রথম ওভারে বিলাল খান তুলে নিয়েছিলেন টনি উরাকে, সে ওভারে রানের খাতাই খুলতে পারেনি বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো খেলতে আসা পাপুয়া নিউ গিনি। 

পরের ওভারে এলেন কালিমুল্লাহ, তুলে নিলেন লেগা সিয়াকাকে। তখনো নবাগতদের রানের খাতা পড়ে ছিল ফাঁকাই। শুরুর দুই ওভারে এল এক রান, নেই দুই উইকেট। বড় বিপর্যয় চোখরাঙানি দিচ্ছিল পাপুয়া নিউ গিনিকে। সে অবস্থা থেকে অধিনায়ক আসাদ ভালা আর ব্যাটার চার্লস আমিনি উদ্ধার করেন দলকে। গড়েন ৮১ রানের এক জুটি। 

আল আমেরাতের এই উইকেটে ১৬০কে ধরা হচ্ছিল লড়াকু সংগ্রহ, আমিনি আর ভালার জুটি তেমন কিছুর স্বপ্নই দেখাচ্ছিল পাপুয়া নিউ গিনিকে। কিন্তু আমিনির রান আউটে ভেঙে যায় সেটা। এরপরও অবশ্য আশা দেখাচ্ছিলেন ভালা, তবে কালিমুল্লাহর শিকার হয়ে তিনিও দলীয় ১০২ রানে ফিরে যান। তাতে মাঝারি স্কোরের লক্ষ্যটাও দূর আকাশের তারা মনে হতে থাকে নবাগতদের। 

এরপরই অধিনায়ক জিশান এলেন আক্রমণে। একে একে তুলে নিলেন চার উইকেট, তাতে ৯ উইকেট হারিয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে কেবল ১২৯ রানই করতে পারে পাপুয়া নিউ গিনি। আর অধিনায়ক জিশান গড়ে ফেলেন দারুণ এক কীর্তি। ড্যানিয়েল ভেট্টোরির পর এই প্রথম কোনো অধিনায়ক যে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মঞ্চে নিলেন ৪ উইকেট!

এনইউ