বিশ্বকাপের ধারাবাহিক আয়োজন- ফিরে দেখা
২০১২ বিশ্বকাপ : ওয়েস্ট ইন্ডিজের পুনরুত্থানের গল্প
ভেন্যু : শ্রীলঙ্কা
চ্যাম্পিয়ন : ওয়েস্ট ইন্ডিজ
রানার্স আপ : শ্রীলঙ্কা
দল সংখ্যা : ১২ টি
ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট : শেন ওয়াটসন
২০১২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের পুনরুত্থানের টুর্নামেন্ট। ১৯৭৯ সালের পর এবারই প্রথম বৈশ্বিক শিরোপা জেতে তারা। ক্রিস গেইলদের গ্যাংনাম নৃত্যু সেবার জনপ্রিয়তা পেয়েছিল বেশ। ফাইনালে ব্যাট হাতে ৫৬ বলে ৭৮ রান ও বল হাতে ১৫ রানে ১ উইকেট নিয়ে দলকে শিরোপা এনে দেওয়ার কাজটা সহজ করেছিলেন মারলন স্যামুয়েলস।
বিজ্ঞাপন
অবশ্য গ্রুপ পর্বে অস্ট্রেলিয়া ও শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে গিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তবে শেষ অবধি তারাই জিতেছে শিরোপা। বেশ কয়েক জন ম্যাচ উইনার ক্রিকেটার ছিলেন দলটিতে। সুনীল নারিন ওই টুর্নামেন্টে ওভার প্রতি রান দিয়েছিলেন ছয়ের কম, পেয়েছিলেন ৯ উইকেট। শীর্ষ পাঁচ রান সংগ্রাহকের তালিকায় ছিলেন ক্রিস গেইল ও স্যামুয়েলস।
ওই টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত এক স্পিনার পেয়েছিল শ্রীলঙ্কা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এক আসরে সর্বোচ্চ ১৫ উইকেট নিয়েছিলেন আজান্তা মেন্ডিস। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৮ রান দিয়ে নিয়েছিলেন ৬ উইকেট। যা এখনো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেরা বোলিং ফিগার।
২৪৩ রান করেছিলেন লঙ্কান অধিনায়ক মাহেলা জয়বার্ধানে। ওই টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ চারও এসেছিল তার ব্যাটে। তবে ফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হেরে যায় স্বাগতিকরা। এরপর অধিনায়কত্ব ছাড়ার ঘোষণা দেন তিনি।
ওই বিশ্বকাপ ভারতের জন্য ছিল বেশ হতাশার। টুর্নামেন্টে মাত্র একটিই ম্যাচ হেরেছিল তারা। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৯ উইকেটের ওই হারেই সেমিফাইনালের আগে বিদায় নিতে হয়েছিল তাদের। নিজের ভাগ্য বদলাতে এসে আরও একবার হতাশ হয়েছিল নিউজিল্যান্ডও।
প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে দুই সেঞ্চুরির মালিক হয়েছিলেন ব্রেন্ডন ম্যাককালাম। টি-টোয়েন্টিতে শুরু থেকে শেষ অবধি ব্যাট করা তৃতীয় ব্যাটসম্যান হয়েছিলেন ক্রিস গেইল। দুটি ঘটনাই হয়েছিল ওই টুর্নামেন্টে।
বাংলাদেশ কেমন করেছিল
নিউজিল্যান্ডের কাছে ৯ উইকেটে হেরে ২০১২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু করেছিল ভারত। এরপর পাকিস্তানের কাছে ৮ উইকেটে হেরে শেষ হয়েছিল বাংলাদেশের টুর্নামেন্ট।
এমএইচ