স্বাগতিক : ওয়েস্ট ইন্ডিজ
চ্যাম্পিয়ন : ইংল্যান্ড
রানার আপ : অস্ট্রেলিয়া
দল সংখ্যা : ১২টি
টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় : কেভিন পিটারসন

আইসিসি কি বাণিজ্যিক লাভের চাপের মুখে পড়েছিল? এটা হয়তো বলা যাবে না। তবে হাস্যকরভাবে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজনের মাত্র আট মাসের মাথায় ওয়েস্ট ইন্ডিজে বসে তৃতীয় বিশ্বকাপ। আইপিএলের উত্থানে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ততদিনে বেশ জনপ্রিয় হয়ে গেছে। 

অনেকেই মনে করেন, মাত্র আট মাসের মাথায় আরেকটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজনের জন্য আইসিসিকে উদ্বুদ্ধ করেছিল সেটি। যদিও মাঠে দর্শকদের উপস্থিতি ছিল কম। ভারতের টিভি বাজারের কথা মাথায় রেখে খেলা শুরু হয়েছিল স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে নয়টায়।  

এই টুর্নামেন্টের চমক হয়ে হাজির হয়েছিল ইংল্যান্ড। এর আগে টেস্টে বেশ দাপট দেখালেও এবারই প্রথম রঙিন পোশাকের কোনো শিরোপা জেতে তারা। সেটিও চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী অস্ট্রেলিয়াকে ফাইনালে হারিয়ে। 

সেমিফাইনালে অবশ্য পাাকিস্তানকে ‘একাই’ হারিয়ে দিয়েছিলেন মাইক হাসি। ২৪ বলে ৬০ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থেকে অস্ট্রেলিয়াকে ফাইনালে তুলেছিলেন তিনি। যদিও এখানে ইংল্যান্ডের কাছে হেরে শেষ হয় অজিদের শিরোপা স্বপ্ন।

এই টুর্নামেন্টে ঘটেছিল আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। চমক দেখিয়ে বিশ্বকাপে জায়গা করে নিয়েছিল যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তান। এক দশক পেরিয়ে এখন তারা পেয়েছে টেস্ট স্ট্যাটাস। বড় বড় দলগুলোর জন্যও এখন ভয়ের কারণ আফগানরা।

বাংলাদেশ কেমন খেলেছিল

এই বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক ছিলেন সাকিব আল হাসান। টাইগাররা খেলেছিল দুইটি ম্যাচ। পাকিস্তান ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দুটি ম্যাচেই হারে বাংলাদেশ। পাকিস্তানের বিপক্ষে ২১ রানে হারের ম্যাচে ব্যাটে-বলে উজ্জ্বল ছিলেন সাকিব। 

বল হাতে ৪ ওভারে ২৭ রান দিয়ে দুই উইকেট নেন। পরে ৩১ বলে ৪৭ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। ৪৯ বলে ৬৫ রান করেন মোহাম্মদ আশরাফুলও। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচেও ৪ ওভারে ২৪ রান দিয়ে দুই উইকেট নেন সাকিব। ব্যাট হাতে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ২৮ বলে ২৮ রান করেন তিনি।

এমএইচ