নাজমুল হাসান পাপন ২০১৩ ও ২০১৭ সালে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হন পরিচালক হিসেবে। এরপর বসেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড সভাপতির চেয়ারে। দুই মেয়াদের সফল পরিচালক সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাহমুদ সুজন। বিসিবির গেম ডেভলপমেন্ট বিভাগের কারিগর তিনি। বাংলাদেশ দলের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ে বড় অবদান সুজনের। এবার নির্বাচনে ভোটের লড়াইয়েও বাজিমাত তার। ক্রিকেট সংগঠক নাজমুল আবেদীন ফাহিমকে ৩৭-৩ ভোটে হারিয়েছেন সুজন।

পুনরায় নির্বাচত হয়ে আজ (বৃহস্পতিবার) গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন পাপন। যেখানে সুজনের বিপক্ষে ফাহিমের হারের কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে সুজনের জনপ্রিয়তা আর ফাহিমের পরিকল্পনার অভাবকে দুষলেন। জানালেন, কোন কোন ক্ষেত্রে পাপনের থেকে জনপ্রিয় সুজন। ফাহিমের ভুল সিদ্ধান্ত ছিল সুজনের বিপক্ষে ভোটের যুদ্ধে নামার।

পাপনের ভাষায়, ‘নির্বাচন সম্পূর্ণ ভিন্ন একটি জিনিস। আমি অন্য জায়গায় যতো জনপ্রিয়ই হই না কেন নির্বাচনে যখন যাচ্ছি তখন কাউন্সিলরা কী করবে এটা অনুমান করা খুব কঠিন। খালেদ মাহমুদ সুজন তো মনে হয় আমার চেয়েও জনপ্রিয়। মানে আপনাদের বুঝতে হবে। সে ভুল জায়গা দাঁড়িয়ে গেছে। আমাকে যদি জিজ্ঞেস করেন দুজন খুবই ভালো।’

ফাহিম পেয়েছেন ৩ ভোট। ২টি ভোট পেয়েছেন খালেদ মাসুদ পাইলট। ক্যাটাগরি-১ এ রাজশাহী বিভাগ থেকে মনোনয়নপত্র কিনেছিলেন পাইলট। সেখানে ৯ ভোটের মধ্যে নিজের ভোটের সঙ্গে বাইরের ৮ ভোটের মাত্র ১টি পেয়েছেন। সাইফুল আলম স্বপনের কাছে পরাজয় ২-৭ ভোটের ব্যবধানে। বড় ব্যবধানে হারের কারণ হিসেবে ফাহিম-পাইলটের পরিকল্পনার অভাবকে দুষলেন পাপন।

পাপন জানালেন, ‘ওরা হঠাৎ করে নেমেছে শেষ মুহূর্তে। কোন হোমওয়ার্ক করেনি। নির্বাচনে নামার আগে একটু হোমওয়ার্ক করা দরকার। আমরা ধারণা সেটা ওরা করতে পারেনি বা করেনি। কাউন্সিলদের কাছে যাওয়ারও বোধ হয় সবাই সময় পাননি। বিশেষ করে ফাহিম ভাই তো আমার ধারণা পারেই নাই। এতগুলো ভোট ওখানে কখন যাবে কখন করবে। তাদের প্রতিদ্বন্দ্বীকে কি আপনারা হালকা মনে করেন?’ 

সঙ্গে যোগ করেন পাপন, ‘পাইলটের ব্যাপারটা আমার ধারণা হঠাৎ করে দাঁড়িয়ে গেছে। এখন হঠাৎ করে দাঁড়ালে ইলেকশনে ইটস ভেরি ডিফিকাল্ট বলা যায় না মানে এটা অনুমান করা যায় না। আর যারা আট বছর ধরে আছে ওরা তো কাজ নিশ্চয়ই করে রাখছে যাতে আগামী নির্বাচনে পাশ করে। তাই এটাই বলতে চাচ্ছি একটু পরিকল্পনা হলে আসলে আমার ধারণা হয়তো আর ভালো হতো।’

টিআইএস