বছর ছয়েক আগে পানামা পেপার্স তোলপাড় ফেলে দিয়েছিল গোটা বিশ্বে। ছয় বছর পর আবারও একই ধরনের আলোড়ন ফেলে দিয়েছে ‘প্যান্ডোরা পেপার্স’। নামী দামী মানুষদের গোপন আর্থিক লেনদেনের খবর ফাঁস হয়েছে সেখানে। এতে পপ তারকা শাকিরার নাম যেমন আছে, তেমনি আছে ডজন খুনের অভিযোগ থাকা ইতালিয়ান কুখ্যাত মাফিয়া রাফায়েল আমাতোর নামও উঠে এসেছে। তারই মাঝে উঠে এসেছে ভারতের কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকারের অফশোর বিনিয়োগের খবরও। 

গোপন এই নথি প্রকাশ করেছে অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের আন্তর্জাতিক সংস্থা-আইসিআইজে। সেখানে বিখ্যাত ব্যক্তিদের বিদেশি প্রতিষ্ঠানে পরিচয় গোপন করা বিনিয়োগ থেকে শুরু করে ছদ্মবেশি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের খবর উঠে এসেছে। পরিচয় গোপন করে বিভিন্ন বিলাসবহুল সম্পদ, যেমন ব্যক্তিগত উড়োজাহাজ, প্রমোদতরী, বাড়ির খবর আছে এখানে, আছে বিখ্যাত শিল্পীদের শিল্পকর্মের গোপন মালিকদের খবরও। 

সেই নথিতে বলা আছে, ২০১৩ সালের দিকে শচীনের পরিবারের বিনিয়োগ ছিল ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ডসের একটি প্রতিষ্ঠানে। শুধু তারই নয়, স্ত্রী অঞ্জলি টেন্ডুলকার ও শ্বশুর আনন্দ মেহতাও বিনিয়োগ করেছেন সেখানে। তিন জন মিলিয়ে মোট ২৮টি শেয়ার ছিল তাদের। সব মিলিয়ে টেন্ডুলকারের পরিবার সেখানে লগ্নি করেছিল প্রায় আড়াইশ’ কোটি টাকার মতো। যদিও সেখানে বলা হচ্ছে, ২০১৬ সালে বিনিয়োগ নগদীকরণ করে সব অর্থ তুলে নিয়েছেন টেন্ডুলকার ও তার পরিবার।

টেন্ডুলকারের নাম প্যান্ডোরায় আসায় যারপরনাই বিস্ময় প্রকাশ করেছেন তার আইনজীবি। তিনি স্বীকার করেছেন যে, শচীন টেন্ডুলকারের বিদেশে বিনিয়োগ আছে। কিন্তু তার কোনোটাই গোপন নয়। তার আইনজীবির ভাষ্য,  ‘বিদেশে টেন্ডুলকারের বিনিয়োগ আছে, তবে সবগুলোই বৈধ ও আইনসিদ্ধ। সেসব বিনিয়োগ করার আগে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে জানিয়েই করা হয়েছে সব।’

এনইউ