দলের চাপেই কিপিং ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন মুশফিক!
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের তৃতীয় ম্যাচ শেষ বাংলাদেশ দলের হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গো জানালেন, এই ফরম্যাটে আর কখনো কিপিং না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুশফিকুর রহিম। তার এই সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছে দল। সেই ঘটনার ২৫ দিন কেটে গেছে, এ নিয়ে কোন প্রতিক্রিয়া জানাননি মুশফিক। কিন্তু আজ শুক্রবার বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক জানালেন ভিন্ন কথা। নিজে নয়, দলের চাওয়াতেই কিপিং ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।
নিজের নামে একটি অনলাইন গেমসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে রাজধানী একটি হোটেলে এক প্রশ্নের জবাবে মুশফিক বলছিলেন, ‘বারবারই বলি যে তারা (টিম ম্যানেজমেন্ট) যেভাবে আমাকে দেখতে চাইবে আমিও সেভাবে সেই ভূমিকায় মানিয়ে নিতে চাই। এখন যদি তারা ব্যাটিংয়ে আমার কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু আশা করেন তো আমি সেটাই চেষ্টা করব। যেন এখানে ফোকাস করে দলের উপকারে আসতে পারি। আর আমি মনে করি যে একজন ব্যক্তির চেয়ে অবশ্যই দল বড়। তো আমি ব্যাপারটাকে সেভাবেই নিচ্ছি।’
বিজ্ঞাপন
অথচ উইকেটের পিছনে দাঁড়াতে বরাবরই আগ্রহী ছিলেন মুশফিক। একাধিকবার জানিয়েছেন, উইকেটরক্ষক হিসেবে খেললে সেটি তার ব্যাটিং পারফরম্যান্স ভালো করতে সাহায্য করে। কিপিং ছাড়ার পর এই বিষয়ে বর্তমান ভাবনা কী মুশফিকের?
মুশফিকের ব্যাখ্যা, ‘এটা তো অবশ্যই, কারণ যে কোন একটা জিনিস যত কাছ থেকে দেখবেন সেটি আপনাকে অনেক পরিষ্কার ধারণা দেয়। পাশাপাশি এখন যদি দলের চিন্তা বা কম্বিনেশন যদি অন্যরকম থাকে, যেটা কিনা সদস্য হিসেবে অবশ্যই আমাকে মানিয়ে নিতে হবে, আমি চেষ্টা করি সবসময় টিম প্লেয়ার হিসেবে খেলার।’
কিপিং ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর এখন ফিল্ডিংয়ে মনোযোগী হয়েছেন মুশফিক। অস্ট্রেলিয়া বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে বাউন্ডারি লাইনে দাঁড়িয়ে একাধিক ক্যাচ নেন তিনি। গতকাল (বৃহস্পতিবার) বাংলাদেশ ‘এ’ দলের হয়ে এইচপি দলের বিপক্ষে চোখ ধাঁধানো একটি ক্যাচ নিয়েছেন। সে বিষয়েও কথা বললেন আজ।
মুশফিক বলেন, ‘চেষ্টা করি সবসময় যে দায়িত্বই দেয়া হোক না কেন সেটা ঠিক ভাবে পালন করার চেষ্টা করি। আর দলের জয়ে ভূমিকা রাখার চেষ্টা করি। এই চেষ্টাই থাকে, এটা ব্যতিক্রম কিছু না।’
টিআইএস/এনইউ