কলকাতা নাইট রাইডার্স ও দিল্লি ক্যাপিটালসের খেলার সময় ইয়ন মরগ্যান ও টিম সাউদির সঙ্গে অশ্বিনের কথা কাটাকাটির রেশ যেন থামছেই না। দিল্লির ইনিংসের সময় অশ্বিন-সাউদি ও তারপর অশ্বিন-মরগ্যান এর কথা কাটাকাটি অনেক বিতর্কের সৃষ্টি করে। খেলার মাঠের এই বিতর্ক এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় চলমান। সাবেক ক্রিকেটাররা পক্ষে-বিপক্ষে মতামত দিচ্ছেন। সেদিন মরগ্যানের সঙ্গে কি হয়েছিল সে ব্যাপারে অশ্বিন তার টুইটারে নিজের অভিমত ব্যক্ত করেছেন।

দিল্লির ইনিংসের শেষ দিকে রাহুল ত্রিপাঠির থ্রো রিশভ পান্তের ব্যাটে লাগার পর অশ্বিন রান নিতে চাইলে তা নিয়ে আপত্তি জানান মরগ্যান। সেখান থেকেই শুরু হয় ঘটনার সূত্রপাত। তর্কে জড়ান কলকাতা অধিনায়ক ও অশ্বিন। কলকাতার ব্যাটিংয়ের সময় এই তর্ক আরো প্রশ্ন তৈরি করে যখন মরগান অশ্বিনের বলে আউট হন। 

আইপিএলে অশ্বিন মানেই যেন আলোচনা। সেই বাটলারের ম্যানকাড আউট করা থেকে এখন পর্যন্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার কেন্দ্রে আছেন ভারতীয় এই ক্রিকেটার।

ভারতীয় সাবেক ব্যাটার বীরেন্দর শেবাগ তার টুইটারে অশ্বিনের এই ঘটনা নিয়ে মরগানকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘২০১৯ সালের বিশ্বকাপের গাপটিলের থ্রোতে স্টোকসের ব্যাটে লেগে ৪ হয়ে যাওয়ার ঘটনাটি ভুলে গেলে হবে না।’

অশ্বিন তার নিজের টুইটারে মরগ্যানের সঙ্গে আলোচিত এই ঘটনা নিয়ে তার অভিমত ব্যক্ত করেন। ভারতীয় এই অফ স্পিনার বলেন, ‘আমি যখন ফিল্ডারকে থ্রো করতে দেখি তখন রান নেওয়ার জন্য ছুটি বল পান্তের ব্যাটে লেগে ছিল কিনা তা আমি জানি না। আমি যদি দেখতে পারতাম বল ব্যাটে লেগেছে তাহলে কি আমি দৌড়াতাম? অবশ্য দৌড়তাম কারণ ক্রিকেটে এটা করা যায়। আমি কি এখানে লজ্জার বা অবাক হওয়ার মতো কিছু করেছি, অবশ্যই না।’ 

ভারতীয় এই অফ স্পিনারের কাণ্ডে অস্ট্রেলিয়ার সাবেক লেগ স্পিনার শেন ওয়ার্ন বলেছেন অশ্বিনের এইসব কর্মকান্ড খেলার সৌন্দর্য নষ্ট করে, ‘এমন ঘটনা আর ঘটা উচিত নয়। এই ঘটনা নিয়ে ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট অনেকেই তাদের মতামত দিয়েছেন। অবশ্য এইসব কোনো কিছুই কানে নিচ্ছেন না অশ্বিন। কারণ তার মতে তিনি যা করেন সব ক্রিকেটিয় ধারার মধ্যেই পড়ে।’ কলকাতার সঙ্গে সেদিনের ম্যাচ দিল্লি হারলেও তারা বর্তমানে পয়েন্টস তালিকায় দুই নম্বরে অবস্থান করছে।

এমএফ/এনইউ