২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর যুব পর্যায়ের আসর বাদ দিলে আর কোন বিশ্বকাপ আয়োজন করেনি বাংলাদেশ। এবার আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী ওয়ানডে বিশ্বকাপ আয়োজনের জন্য অন্তত ১০টি ভেন্যু লাগবে আয়োজক দেশের। টি-টোয়েন্টির জন্য ভেন্যুর প্রয়োজন ৮টি। এজন্য এই দুই টুর্নামেন্ট যৌথভাবে আয়োজন করতে চায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। বাংলাদেশে বিশ্বকাপ আয়োজনের জন্য খোদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার থেকে সবুজ সংকেত পেয়েছে বোর্ড।

আজ বিসিবির ১২তম সভা শেষে মিরপুরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেন, ‘গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সরকারি বিভিন্ন মন্ত্রনালয় থেকে অনুমতি বা গ্যারান্টির দরকার ছিল। আমরা আনন্দের সঙ্গে শেয়ার করছি যে, আমরা এই সংক্রান্ত অনুমতি নেয়ার যে পত্র দরকার হয় সেটার প্রথম পত্রটাই পেয়েছি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে, ওনার নিজের সই করা- যে এখানে যদি কোন টুর্নামেন্ট হয় তো সমস্ত দায়িত্ব নিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। এখানে অনেক দেশের কিন্তু এ ব্যাপারে সমস্যা হচ্ছে।’

দেশে বিশ্বকাপ আয়োজনের জন্য সরকার প্রধানের অনুমতি আগে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমতি প্রয়োজন। সে অনুমতি পেয়ে আবেদন করেছে বিসিবি। চ্যাম্পিয়নস ট্রফি এককভাবে আয়োজন করতে চাইলেও ওয়ানডে বিশ্বকাপ ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ যৌথভাবে আয়োজনের ভাবনা বোর্ডের।

পাপন বলছিলেন, ‘আমরা আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য একক ভাবে আবেদন করেছি। কারণ এই ইভেন্ট করার জন্য যে কয়টা স্টেডিয়াম দরকার সেটা আমাদের আছে।’

সঙ্গে যোগ করেন পাপন, ‘টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য আমরা শ্রীলঙ্কার সঙ্গে যুগ্মভাবে আবেদন করেছি। ওই বিশ্বকাপের জন্য যে পরিমান স্টেডিয়াম দরকার সেটা আমাদের নেই, দুটো দেশ মিলে করা যায়। আর ওয়ানডে বিশ্বকাপের জন্য আমরা তিনটা দেশ– বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তান মিলে আবেদন করেছি।’

টিআইএস/এটি/এনইউ