জালাল চৌধুরীকে আজীবন মনে থাকবে মাশরাফির
গত কিছুদিন ধরেই শরীরটা ভালো যাচ্ছিল না। মাসের শুরুতে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। এরপর কিছুটা সুস্থ হয়ে বাসাতেও ফেরেন। কিন্তু গত শুক্রবার থেকে কাবু হয়ে পড়েন জালাল আহমেদ চৌধুরী। সেই রাত থেকেই ছিলেন ভেন্টিলেশনে। ওই ধাক্কা সামলে উঠা হলো না। ফুসফুসের সংক্রমণ ও শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ভুগে শেষ পর্যন্ত চলেই গেলেন সর্বজন শ্রদ্ধেয় এই ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব।
মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টার দিকে মারা গেছেন জালাল চৌধুরী। ক্রিকেটার, আম্পায়ার, কোচ, লেখক, ক্রীড়া সাংবাদিক অনেক পরিচয় তার। তার হাত দিয়েই তৈরি হয়েছেন অনেক তারকা ক্রিকেটার। পেয়েছেন সান্নিধ্য অনেকেই। তারা এখন শোকাহত।
বিজ্ঞাপন
শোক প্রকাশ করলেন মাশরাফি বিন মতুর্জাও। জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ক প্রিয় কোচের মৃত্যু যেন মেনে নিতে পারছেন না। মঙ্গলবার নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে লিখলেন, ‘যাদের হাত ধরে ক্রিকেট জীবন শুরু করা তাদের বিদায়গুলো এভাবে দেখা খুবই কঠিন।’
সঙ্গে মাশরাফি আরও যোগ করলেন, ‘স্যার, আপনার আন্ডারে খেলা, আপনার আদেশ, ড্রেসিং রুমে আপনার স্থির থাকা, আপনার লেখা এ সব কিছুই এখন স্মৃতি হয়ে গেল। বাংলাদেশ ক্রিকেটে আপনার অবদান যারা দেখেছে তারা আজীবন মনে রাখবে। অসংখ্য খেলোয়াড়ের গুরু ছিলেন আপনি আর হয়েও থাকবেন। ওপারে ভালো থাকবেন স্যার। আল্লাহ আপনাকে জান্নাত বাসী করুন। আমিন।’
প্রিয় জালাল আহমেদ চৌধুরীর মৃত্যুর খবরে শোকাহত ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবালও। তিনি তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে লিখলেন, ‘বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক কোচ ও বরেণ্য ক্রীড়া লেখক জালাল আহমেদ চৌধুরী আর নেই। মঙ্গলবার বেলা ১১টা ২৫ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন তিনি।’
শোকাহত জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার হান্নান সরকারও। তিনি ফেসবুকে লিখলেন, ‘স্যার আমরা আপনাকে মিস করবো।’
এটি/এমএইচ