মন্থর উইকেট হোক বা স্পিন সহায়ক, টানা ১০ টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ দলের ব্যাটসম্যানদের পারফরম্যান্স প্রশ্নবিদ্ধ। অস্ট্রেলিয়ার পর নিউজিল্যান্ড সিরিজ, একমাত্র মাহমদুউল্লাহ রিয়াদের একটি ফিফটি ছোঁয়া ইনিংস বাদ দিলে সুবিধা করতে পারেননি কেউই। উইকেটে থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে না পারার আক্ষেপে পুড়তে হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে ভাবাচ্ছে বাংলাদেশ দলের ব্যাটসম্যানদের ফর্ম।

তবে বরাবরের মতো এই দুই সিরিজে ব্যাটসম্যানদের দায়িত্ব বা ধারাবাহিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে মানা করলেন অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। রোববার রাজধানীর একটি হোটেলের ডিবিএল টাইলসের শুভেচ্ছা দূত হিসেবে দায়িত্ব বুঝে নিতে এসে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সাকিব জানালেন, ব্যাটসম্যানদের ভুল না ধরে ভালোর দিকে নজর দেন।

সাকিব বলছিলেন, ‘দেখুন আপনি যদি ভুল ধরতে চান, যেকোনো জিনিসেরই ভুল ধরা সম্ভব। সো ভুলটা একটু কম দেখে, ভালোর দিকে যদি তাকান, তাহলে অনেক ভালো কিছু দেখতে পাবেন। আপনার দেখার দৃষ্টিটা আসলে কেমন সেটা বুঝতে হবে।’  

দলে জুনিয়র ক্রিকেটারদের ভূমিকা নিয়ে এই অলরাউন্ডারের ভাবনা, ‘আমার কাছে মনে হয় সব ক্রিকেটার কম বেশি পারফরম্যান্স করছে এবং একটা টিম হিসেবে খেলতে পারছি। এটাই জেতার বড় কারণ।’

এদিকে প্রশ্ন উঠেছে বাংলাদেশ দলের সহ-অধিনায়ক ইস্যুতে। দীর্ঘদিন ধরে দলে নেই কোন সহ-অধিনায়ক। এমনকি আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ডেপুটির নাম ঘোষণা করেনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। বোর্ডের এমন ভাবনা কিভাবে দেখছেন সাকিব?

সাকিব আল হাসানের ব্যাখ্যা, ‘যেহেতু এটা একটা ঐতিহ্য, হয়তো (সহ-অধিনায়ক) থাকলে ভালো হতো। নাই বলে যে খুব একটা সমস্যা, সেটা আমার কাছে কখনোই মনে হয় না। স্বাভাবিকভাবেই পাঁচ-ছয়জন আছে যারা লিডারশিপ গ্রুপের পার্ট, আমি মনে করি। তারা সবাই মিলেই যেকোনো ক্রাইসিস মোমেন্ট বা যেকোনো ডিফিকাল্ট ডিসিশন মেক করতে হয়, সবার আলোচনার মাধ্যমেই হয়।’

সঙ্গে যোগ করলেন সাকিব, ‘তো খুব একটা সমস্যা হয় বলে আমার মনে হয় না। এবং যখন কোনো ভাইস ক্যাপ্টেন থাকে, তখন যে খুব একটা বড় রোল প্লে করতে হয় তাও না। বাট যেহেতু এটা একটা ট্র্যাডিশন ক্রিকেটের, সেদিক থেকে থাকতেই পারে।’

টিআইএস/এটি