দুই দলের কোন ক্রিকেটারই করোনা আক্রান্ত নন অথচ বাতিল হয়ে গেলো ম্যানচেস্টার টেস্ট! ইংল্যান্ড ও ভারতের এই টেস্ট বাতিলের পরই প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। সমালোচকরা সাফ বলে দিচ্ছেন বিরাট কোহলিরা নাকি চাইলেই খেলতে পারতেন। তাদের অনাগ্রহে হয়নি সিরিজের পঞ্চম ও শেষ টেস্ট ম্যাচটি।

ইংলিশ গণমাধ্যম এ নিয়ে বেশ সরব। ঠিক এমন সময়ে বাতিল ম্যানচেস্টার টেস্ট নিয়ে মুখ খুললেন ইনজামাম উল হক। পাকিস্তানের সাবেক এই ক্রিকেটার পাশে দাঁড়ালেন টিম ইন্ডিয়ার। ফিজিও করোনা আক্রান্ত হওয়ায় আশঙ্কিত কোহলিদের শেষ টেস্টে মাঠে নামতে না চাওয়ার সেই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করলেন গ্রেট ইনজামাম।

ইউটিউবে নিজের চ্যানেলে ইনজামাম জানাচ্ছিলেন, শেষ টেস্টের আগে ফিজিও করোনা আক্রান্ত হওয়ায় কোহলিদের আতঙ্কিত হওয়া স্বাভাবিক। কারণ ফিজিও ক্রিকেটারদের সঙ্গে ট্রেনিংয়ের সময় মাঠে আর সারাক্ষণ উপস্থিত থাকেন ড্রেসিংরুমে। ইনজামাম বলেন, ‘দেখুন, করোনার জন্য ভারত-ইংল্যান্ড শেষ টেস্ট অনুষ্ঠিত না হওয়াটা দুর্ভাগ্যের। এটি অসাধারণ এক সিরিজ ছিল। অবশ্য না হওয়ায় ভারতীয় ক্রিকেটারদের দোষ দেওয়া যাচ্ছে না। ওরা চতুর্থ টেস্ট খেলেছে কোচ ও সাপোর্ট স্টাফদের ছাড়া। তারপরও মাঠে দৃঢ় ছিল। এবার  ফিজিও করোনা আক্রান্ত হয়, যে কিনা ক্রিকেটারদের অনুশীলন করিয়েছে। ফিজিও ড্রেসিংরুমে ও ট্রেনিংয়ের সময় মাঠে সারাক্ষণ ক্রিকেটারদের সঙ্গে থাকে। তাই ওদের আতঙ্কিত হওয়া স্বাভাবিক।’ 

বিশেষ করে টেস্টে ফিজিও ছাড়া খেলা চালিয়ে যাওয়া কঠিন। ইনজামাম বলেন, ‘দেখুন, সাপোর্ট স্টাফ ছাড়া খেলতে নামা সত্যিই কঠিন। যখন আপনি চোট পাবেন বা অস্বস্তি দেখা দেবে, তা থেকে ম্যাচ ফিট হয়ে ওঠার জন্য ট্রেনার ও ফিজিওর দরকার হয়। ক্রিকেটে ফিজিও, ট্রেনারদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। টেস্ট ম্যাচে দিনের খেলা শেষ হলে ফিজিওর কাজ শুরু হয়। খেলোয়াড়দের পরের দিনের জন্য প্রস্তুত করে তোলাই ফিজিওর দায়িত্ব। করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ হওয়ার পরও ভারত না খেলায় দোষ দেওয়া উচিত নয় ওদের।’

এদিকে শোনা যাচ্ছে এই বাতিল টেস্ট ম্যাচটি পরবর্তী সময়ে এই টেস্ট খেলার প্রস্তাব দিয়েছে ভারতীয় বোর্ড। বছরের শেষ দিকেই হতে পারে সেটি।

এটি/এনইউ