ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের নিয়মিত দর্শক না হলে এতদিনে রবি রামপলকে ভুলেই যাওয়ার কথা আপনার। ওয়েস্ট ইন্ডিজ জাতীয় দলে ব্রাত্য হয়ে পড়েছিলেন, সবশেষ টি-টোয়েন্টিটা খেলেছেন সেই ২০১৫ সালে। সেই রামপলকেই এবার ছয় বছর পর দলে ডেকেছে, তাও বিশ্বকাপের দলে। কারণ? সেই ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট, ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে তার আগুনে ফর্ম। 

বৃহস্পতিবার রাতে ঘোষিত হয়েছে ক্যারিবীয়দের বিশ্বকাপ দল। তাতে রবি রামপলই একমাত্র চমক নয়। সবাইকে অবাক করে দিয়ে বাঁহাতি পেসার শেলডন কটরেল বাদ পড়ে গেছেন দল থেকে। সঙ্গে জেসন হোল্ডারও নেই উইন্ডিজের ১৫ সদস্যের দলে। শেষ কিছু দিনে দারুণ পারফর্ম করা আকিল হোসেন জায়গা পেয়েছেন রিজার্ভ দলে! আরও বড় চমক ছিল রস্টন চেজের দলে সুযোগ পাওয়া। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি অভিষেকই যে হয়নি তার! 

বাদ পড়াদের ভেতর উল্লেখযোগ্য আছেন আরও দু’জন। প্রথম জন উইন্ডিজকে জিতিয়েছিলেন এর আগের আসরের বিশ্বকাপ শিরোপা। সেবারের ফাইনালে বেন স্টোকসের করা শেষ ওভারটায় হাঁকিয়েছিলেন টানা চারটা ছয়; সেই কীর্তি, এরপর ইয়ান বিশপের করা ‘কার্লোস ব্র্যাথওয়েট! রিমেম্বার দ্য নেম!!’ চিৎকারটা উইন্ডিজ ক্রিকেট তো বটেই, ঢুকে গেছে খোদ ক্রিকেটের রূপকথাতেই।

আরেকজন হচ্ছেন সুনীল নারাইন। ২০১৯ সালে বাদ পড়ার পর শেষ কিছু দিনে বাজে পারফর্ম্যান্সে আর দলে ভেড়া হয়নি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে টি-টোয়েন্টির এই ফেরিওয়ালার। 

চমকে ভরা দলের অধিনায়কত্বের ভার পড়েছে কাইরন পোলার্ডের কাঁধে। সেটাও অবশ্য একটা চমকই বটে। ক্যারিবীয় এই অলরাউন্ডার যে আট বছর পর ফিরলেন আইসিসির কোনো বৈশ্বিক আসরে! ডেপুটি হিসেবে পাচ্ছেন নিকলাস পুরানকে।

পোলার্ডের দল আগামী ২৩ অক্টোবর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু করবে তাদের শিরোপা ধরে রাখার মিশন। সুপার টুয়েলভে তাদের বাকি প্রতিপক্ষ হচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া ও প্রথম রাউন্ড থেকে আসা দুই দল।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিশ্বকাপ স্কোয়াড
কাইরন পোলার্ড (অধিনায়ক), নিকোলাস পুরান (সহ-অধিনায়ক), ফাবিয়ান অ্যালেন, ডোয়াইন ব্রাভো, রস্টন চেজ, আন্দ্রে ফ্লেচার, ক্রিস গেইল, শিমরন হেটমায়ার, এভিন লুইস, ওবেদ ম্যাকয়, রবি রামপল, আন্দ্রে রাসেল, লেন্ডল সিমনস, ওশান থমাস ও হেইডেন ওয়ালশ জুনিয়র।

অতিরিক্ত- ড্যারেন ব্রাভো, শেলডন কটরেল, জেসন হোল্ডার ও আকিল হোসেন।

এনইউ