রঙ্গনা হেরাথকে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার কিছু নেই। শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটের কিংবদন্তি তিনি। ১৯ বছরর আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে তিন ফরম্যাটে নামের পাশে ৫০০ এর বেশি উইকেট নিয়ে খেলোয়াড়ি জীব্নের ইতি টেনেছেন এই বাঁহাতি স্পিনার। বর্তমানে বাংলাদেশ দলের কোচিং প্যানেলে যুক্ত হয়েছেন তিনি। দায়িত্ব নিয়েছেন টাইগারেদের স্পিন বোলিং বিভাগের।

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে চলমান সিরিজে সাকিব আল হাসান, নাসুম আহমেদ, তাইজুল ইসলামদের নিয়ে নেটে বাড়তি সময় ব্যয় করছেন হেরাথ। ধরিয়ে দিয়েছেন ম্যাচের কৌশলগুলো। কিউইদের বিপক্ষে ঘরের মাঠে মন্থর উইকেটে খেলতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। এখানে স্পিনারদের ভূমিকা অনেক। এই উইকেটে কীভাবে সফল হতে হয় সেই পরামর্শ দিচ্ছেন স্বাগতিক স্পিনারদের। নাসুম আহমেদ জানালেন, হেরাথের টোটকায় সফলতার দেখা পাচ্ছেন তিনি।

বাংলাদেশ দলের বাঁহাতি স্পিনার নাসুম বলেন, ‘আসলে দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হয়েছি কি না, জানি না। তবে দল থেকে অনেক সমর্থন পাচ্ছি। বিশেষ করে অধিনায়ক ও অভিজ্ঞরা আমাকে অনেক সমর্থন করছেন। আর এতে আমার আত্মবিশ্বাস বেড়ে যাচ্ছে।’ 

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৬ উইকেটে ম্যাচ জিতে সিরিজ জয়ের পর এক ভিডিও বার্তায় বলছিলেন নাসুম, ‘কোচও (বোলিং কোচ হেরাথ) আমাকে নিয়ে ব্যাক্তিগতভাবে কাজ করেন। তার সঙ্গে আমি অনেক কিছু শেয়ার করি তিনিও আমার সঙ্গে অনেক কিছু শেয়ার করেন। কালকে অনুশীলনে কোচ বলছিলেন এই উইকেটে আরেকটু আস্তে বল করলে ভালো হয়। কালকে ওইটাই অনুশীলন করছিলাম আর আজ ওটা ম্যাচে প্রয়োগ করার চেষ্টা করেছি।’

কিছুদিন আগে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজে মাত্র ১৯ রান দিয়ে বল হাতে ৪ উইকেট নিয়ে আলোচনায় আসেন নাসুম। আজ (বুধবার) নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৪ উইকেট নিতে খরচ করেন মাত্র ১০ রান। যেখানে দুই মেডেন ওভারে ডট বল দেন ১৭টি। নাসুমের ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ের ওপর ভর করে ইতিহাস লেখে বাংলাদেশ দল। পাঁচ ম্যাচ সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে ৬ উইকেটে জিতে প্রথমবারের মতো নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে সিরিজ জয়ের স্বাদ পায় লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।

চলতি বছরের নিউজিল্যান্ড সফরে গিয়ে বাংলাদেশ জার্সিতে অভিষেক হয় নাসুমের। ওই সিরিজে একেবারেই সুবিধা করতে পারেনি টাইগাররা। সেই প্রসঙ্গে টেনে নাসুম বলছিলেন, ‘নিউজিল্যান্ড যখন খেলতে গিয়েছি তখন আমার টি-টোয়েন্টিতে ডেব্যু হয়। প্রথম ম্যাচে ২ উইকেট পেয়েছিলাম। একটা ম্যাচেও জিততে পারিনি। একটা আক্ষেপ ছিল ওদের সঙ্গে জিততে পারিনি। তো আলহামদুলিল্লাহ হোম কন্ডিশনে আমরা সিরিজ জিতেছি। অনুভূতি বলতে খুব ভালো লাগছে আর খুব খুশিও লাগছে নিজে পারফর্ম করেছি এজন্য।’

টিআইএস/এমএইচ