নিউজিল্যান্ডের মতো করে ভাবতে হচ্ছে বাংলাদেশকেও
চলমান বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড সিরিজে আলোচনার পুরোটা জুড়ে উইকেটের চরিত্র। মিরপুরে সিরিজের ৩ ম্যাচে যেমন ৬০ রানে গুঁটিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটছে, তেমনি স্কোর বোর্ডে ১৪১ রানও দেখা গেছে। সিরিজের শুরুর ২ ম্যাচ জিতে এগিয়ে বাংলাদেশ। গত সোমবার তৃতীয় ম্যাচে সিরিজ জয়ের লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নেমে কিউইদের বিপক্ষে পেরে উঠেনি স্বাগতিকরা। এজন্য পরের ম্যাচে ঘুরে দাঁড়িয়ে সিরিজ জয় নিশ্চিত করতে ভিন্ন কৌশলে হাঁটার পরিকল্পনা বাংলাদেশ দলের।
এই সিরিজ শুরুর আগে নিউজিল্যান্ডের অলরাউন্ডার রাচিন রবীন্দ্র জানিয়েছিলেন, মিরপুরের স্লো উইকেটে ব্যাটসম্যান কাজটি একেবারেই সহজ নয়। এখানে ওভারে ৬ রান করে তুলতে পারলেই ভালো ফলাফল পাওয়া সম্ভব। তৃতীয় ম্যাচ হারের পর চতুর্থ ম্যাচে মাঠে নামার আগে আজ (মঙ্গলবার) অনুশীলন শেষে পাঠানো ভিডিও বার্তায় একই রকম কথা শোনালেন বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং পরামর্শ অ্যাশওয়েল প্রিন্স।
বিজ্ঞাপন
প্রিন্স বললেন, ‘উইকেট দ্রুত রান তোলার মতো নয়। খুব বেশি বাউন্ডারি এমন উইকেটে হয় না। তাই স্ট্রাইক রোটেট করে রান রেট ৬ রাখা উচিৎ। নিশ্চিত করতে হবে প্রয়োজনীয় রান রেট খুব বেশি না দাঁড়ায়।’- গতকাল (সোমবার) একই কথা বলেছিলেন লিটন দাসও, ‘বাউন্ডারি মারাটা কঠিন, ওভার বাউন্ডারি বা এমনি বাউন্ডারি মারাটাই অনেক কঠিন। আমার কাছে মনে হয় সিঙ্গেলে একটু বেশি ফোকাস দিতে হবে। রানিং বিটুইন দ্য উইকেট টা একটু বেশি ফোকাস দিতে হবে।’
জিম্বাবুয়ে সিরিজে ব্যাটসম্যানরা রান পেলেও অস্ট্রেলিয়া সিরিজ থেকে ধারাবাহিকতার অভাব দেখা দিয়েছে নাঈম হাসান, আফিফ হোসেন, নুরুল হাসান সোহানদের ব্যাটে। তবে এনিয়ে মোটেও চিন্তিত নন প্রিন্স। ব্যাটসম্যানদের পক্ষে সাফাই গেয়ে বললেন, কম্বিনেশন নিয়ে কোনও অসুবিধা নেই। পিচের ধরণ বুঝে মানিয়ে নেওয়ার তাগিদ তার কণ্ঠে।
প্রিন্স জানালেন, ‘জিম্বাবুয়েতে আমরা ভালোই লক্ষ্য তাড়া করেছি। অস্ট্রেলিয়া সিরিজে আফিফ ও সোহান রান তাড়ায় পারদর্শীতা দেখিয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ হলো দলের ব্যাটসম্যানদের কম্বিনেশন। আমাদের দলে এমন খেলোয়াড় আছে যারা স্ট্রাইক রোটেট করতে পারে আবার এমন খেলোয়াড়ও আছে যারা বাউন্ডারিও হাঁকাতে পারে, শেষদিকে ওভার প্রতি ৯-১০ রান প্রয়োজন হলে ওই অনুযায়ী ব্যাট করতে পারে।’
সঙ্গে যোগ করেন বাংলাদেশ দলের এই প্রোটিয়া পরামর্শক, ‘আমি মনে করি আমাদের কম্বিনেশন ভালোই আছে, আমাদের সব ধরনের খেলোয়াড় আছে। খুব গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হলো- প্রতিটি পিচ ভিন্ন এবং পিচের ধরন বুঝে মানিয়ে নিতে হবে।’
টিআইএস/এমএইচ