শারীরিক বিশ্রাম দরকার লিটনদের
জৈব সুরক্ষা বলয়ের কারণে বেশ কঠিন হয়ে পড়েছে জীবনযাপন। এর প্রভাব পড়ছে ক্রীড়াঙ্গনে। টানা খেলার সঙ্গে সুরক্ষা বলয়, হাঁপিয়ে উঠছেন ক্রিকেটাররা। এজন্য বেশ কয়েকটি ক্রিকেট বোর্ড ‘রোটেশন’ করে খেলোয়াড়দের মাঠে নামাচ্ছে। তবে খুব বেশি বিকল্প না থাকায় এখনো সে পথে হাঁটতে পারেনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। এর প্রভাব পড়ছে খেলায়, ক্রিকেটারদের মানসিকতায়, শরীরে। এজন্য সিরিজ চলাকালীনও পূর্ণ অনুশীলন করতে পারছেন না খেলোয়াড়রা। প্রয়োজন পড়ছে বিশ্রামের।
চলমান নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের কথা ধরা যায়। এই সিরিজ খেলতে গত ২৪ আগস্ট হোটেলে উঠেছে বাংলাদেশ দল। তিনদিনের কোয়ারেন্টাইনের পর ২৭ আগস্ট থেকে শুরু হয় অনুশীলন পর্ব। ১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। প্রায় একদিন পরপর ম্যাচের সূচি। মাঝের দিনগুলোতে রয়েছে অনুশীলনের সূচি। তবে সিরিজি শুরু হলে ম্যাচের দিন বাদে দলীয় অনুশীলনে খুব একটা মাঠে দেখা যাচ্ছে না টাইগার ক্রিকেটারদের।
বিজ্ঞাপন
আজ (সোমবার) বাংলাদেশ দলের অনুশীলনের সূচি থাকলেও হোটেল থেকে বের হননি কোন ক্রিকেটার। অনেকেই অবশ্য হোটেলে ফিটনেস ট্রেনিং করেছেন। দলের টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান লিটন দাস জানালেন, প্রচণ্ড গরম আবহাওয়া মধ্যে একদিন পরপর খেলা থাকায় হাঁপিয়ে উঠেছেন ক্রিকেটাররা। এজন্য শারীরিক বিশ্রামের প্রয়োজন।
এক ভিডিও বার্তায় লিটন বলছিলেন, ‘আমরা যেখানে খেলছি এখানে প্রচন্ড গরম আবহাওয়া। নিজেকে ওভাবে মেইনটেইন করতে হচ্ছে। আসলে একদিন পর পর খেলা হলে একটা ব্রেক গুরুত্বপূর্ণ। আমার কাছে যেটা মনে হয়, বডি রেস্টটা খুব দরকার। কারণ এরকম গরমে পরপর অনুশীলন, ম্যাচ থাকলে এনার্জি লেভেলটা একটু ডাউন হয়ে যায়। এ জন্য আমরা সবাই ফিটনেসে অনেক মনযোগ দিচ্ছি, জিম করছি। কারণ, স্ট্রেন্থ অনেক বেশি দরকার, আমার মনে হয় জিম থেকে এ জিনিসটা পাওয়া যায়।’
পারিবারিক কারণে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ঘরের মাঠে সিরিজে ছিলেন না লিটন। ফিরেছেন কিইউদের বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে। ব্ল্যাকক্যাপসদের বিপক্ষে শুরুর তিন ম্যাচে ব্যাট হাতে সুবিধা করতে পারেননি এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। এজন্য অবশ্য উইকেটের চরিত্রকে কাঠগড়ায় তুলছেন তিনি।
লিটন জানালেন, ‘ব্যাটিং কন্ডিশন একটু তো চ্যালেঞ্জিং। কারণ, গত ৩ ম্যাচই লো স্কোরিং হয়েছে। এটা তো চ্যালেঞ্জিং বিষয়। কারণ, টি-টোয়েন্টিতে সবসময় মাইন্ড সেটাপ থাকে বড় স্কোর করার বা স্ট্রাইক রেটটা মেইনটেইন করার। যেহেতু এ জিনিসটা হচ্ছে না, গেমটা ওভাবে চেঞ্জ করতে হচ্ছে। এটা টাফ, এটা সহজ না। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এরকম উইকেটে মানিয়ে নেওয়া নেওয়া একটু কঠিন। কারণ প্রতিটি ব্যাটসম্যানই একটু আক্রমণাত্মক মেজাজে থাকে।’
টিআইএস