টি-টোয়েন্টি সিরিজটা এত খারাপ কাটবে, এমনটা হয়তো ঘুণাক্ষরেও বুঝতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। দল ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সিরিজ হেরেছে বাংলাদেশের কাছে, ৪-১ ব্যবধানে হারের শেষটি আবার ছিল অজি ইতিহাসের সবচেয়ে লজ্জাজনক অধ্যায়। 

দুয়ারে কড়া নাড়ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। আর দেড় মাস পরেই আরব মরুর বুকে বসবে টি-টোয়েন্টির বিশ্বআসর। এর আগে অস্ট্রেলিয়ার এমন পারফর্ম্যান্সে যারপরনাই হতাশ অস্ট্রেলিয়ান কিংবদন্তি মাইকেল ক্লার্ক। 

পুরো সিরিজ তার দল ছিল কোণঠাসা। চতুর্থ ম্যাচটা যদিও জিতেছে, সেটাও একটু এদিক ওদিক হলে জিতেই যেতে পারত বাংলাদেশ। সেটা হলে ধবলধোলাইয়ের লজ্জাও পেতে হতো অজিদের। 

সিরিজ জুড়ে সাকিব-নাসুমদের বোলিংয়ের বিপক্ষে তেমন প্রতিরোধই তুলে দাঁড়াতে পারেনি সফরকারীরা। ব্যাট হাতে এক মিচেল মার্শ ছাড়া প্রায় সবাই ছিলেন ব্যর্থ। বোলিংয়ে জশ হেইজেলউড আর নাথান এলিসরা কিছুটা ভালো করেছেন বটে, কিন্তু ব্যাটিং ব্যর্থতায় সেটাও ঢাকা পড়ে গেছে আড়ালে।

বিশ্বকাপের আগে এমন পারফর্ম্যান্স ভাবাচ্ছে সাবেক অজি অধিনায়ককে। ক্লার্ক বললেন, ‘এই সিরিজের পারফর্ম্যান্সে চোখ রাখলে কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গার আর তার দল গভীরভাবে হতাশ হবে। তবে এই সিরিজের ফলাফল নিয়ে আমার মাথাব্যথা নেই। কিন্তু পুরো সিরিজে আমরা যেমন খেলেছি, স্পিন বলে যেমন ভুগেছি, সেটাই আমার মাথা থেকে সরাতে পারছি না।’

যদিও এই সিরিজে দলের অন্যতম কিছু সেরা পারফর্মারকে পায়নি অজিরা। ডেভিড ওয়ার্নার, স্টিভেন স্মিথ, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, মার্কাস স্টয়নিস, প্যাট কামিন্স, জাই রিচার্ডসন, কেন রিচার্ডসন, অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চকে সর্বশেষ হারায় অস্ট্রেলিয়া। তাদের অনুপস্থিতিতে ধুঁকেছে দল। 

তবে ক্লার্কের মত, দলে বেশ ভালো কিছু খেলোয়াড় অবশ্যই ছিল। আর একসঙ্গে অন্তত দশটা ম্যাচ ইতোমধ্যেই খেলে ফেলেছে দলটি। এরপরও বাংলাদেশ তো বটেই, উইন্ডিজ সিরিজেও পারফর্ম করতে দেখা যায়নি দলটিকে। সেজন্যেই দলের ওপর হতাশ হয়ে সমালোচনার বাণে বিদ্ধ করলেন খেলোয়াড়দের।
বিশ্বকাপের আগে আর সিরিজ নেই দলটির। টি-টোয়েন্টির বিশ্বআসরের ঠিক আগে এমন পারফর্ম্যান্সকে দলের জন্য অশনিসঙ্কেত হিসেবেই দেখছেন অস্ট্রেলিয়ান এই ব্যাটসম্যান।

ক্লার্কের কথা, ‘এখনকার অস্ট্রেলিয়া দলের ক্রিকেটারদের ফর্ম বেশ বেমানান। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ঠিক আগে দলের এমন পারফরম্যান্স খুবই আশঙ্কাজনক। বিশ্বকাপের আগে মোটে একটা ম্যাচ খেলছি, বিষয়টা মোটেও এমন নয়। এই দলকেই তো অনেকগুলো ম্যাচ একসঙ্গে খেলতে দেখেছি আমরা।’

এনইউ