চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে তিন উইকেট শিকার করেন সোয়েপসন/এএফপি

টি-টোয়েন্টিতে আগের চারবার মুখোমুখি সাক্ষাতে কোন জয় ছিল না বাংলাদেশের। অথচ পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম তিন ম্যাচই কিনা জিতে নিল টাইগাররা, সঙ্গে সিরিজটিও। তবে কি কোন জাদুর প্রদীপ হাতে পেয়েছে টাইগাররা? জাদু তো অবশ্যই আছে, তবে সেটি প্রদীপে নয়, উইকেটে। যার ফায়দা ভালোভাবে তুলেছে স্বাগতিক শিবির। মন্থর উইকেটে স্পিনের ভেলকিতে বাজিমাত করেছে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশে এসে যে স্পিন সহায়ক উইকেটে খেলতে হবে সেটি ভালোভাবেই জানা ছিল অজিদের। এজন্য নিজেদের স্পিন শক্তিও বাড়িয়ে নিয়ে এসেছে তারা। তবে সব দেখেও সফরকারীরা সিরিজের শুরুর তিন ম্যাচে আস্থা রাখে পেসারদের উপর। কিন্তু এমন উইকেটে মিচেল স্টার্ক, জশ হেইজেলউড, অ্যান্ড্রু টাইরা নিজেদের মান রাখতে পারছেন না, ফলাফল আনতে পারেননি পক্ষে।

বাধ্য হয়ে গেম প্ল্যানে পরিবর্তন আনে অস্ট্রেলিয়া। শুরুর তিন ম্যাচের মধ্যে প্রথম ম্যাচে ১২ ওভার বল করেন অজি পেসাররা। দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ ১৮.৪ ওভারে রান তাড়া করে ফেলেছিল, সেই ম্যাচেও ১০ ওভারের বেশি হাত ঘোরান পেসাররা। বাংলাদেশের সিরিজ নিশ্চিত করা তৃতীয় ম্যাচেও ১১ ওভার বল করেন অস্ট্রেলিয়ান পেসাররা। রান খরচের দিক থেকে পেসাররাই স্পিনারদের তুলনায় এগিয়ে।

তবে টানা তিন ম্যাচে হারের পর বোধোদয় হয় অস্ট্রেলিয়া। গেম প্ল্যানে পরিবর্তন এনে চতুর্থ ম্যাচে ৩ স্পিনার দিয়ে ১২ ওভার বল করায় তারা। অ্যাডাম জ্যাম্পাকে বিশ্রাম দিয়ে খেলানো হয় মিচেল সোয়েপসনকে। সব পরিকল্পনা কাজে আসে অজিদের। বাংলাদেশকে মাত্র ১০৪ রানে আটকে দেয় সফরকারীরা। পরবর্তীতে ম্যাচ জেতে ৩ উইকেটে।

ম্যাচ জয়ের পর কৌশল পরিবর্তের বিষয়ে অজি স্পিনার সোয়েপসন বলেন, ‘আমার মনে হয় কৌশলটা আমাদের কাজে লেগেছে। অ্যাশটন টার্নার পুরো ৪ ওভার বল করেছে। ১২ ওভার আমরা স্পিন করিয়েছি যা আমাদের সাফল্য পেতে কাজে দিয়েছে।’

সঙ্গে যোগ করেন সোয়েপসন, ‘হয়ত এটা আমরা আগের ম্যাচগুলোতে করতে পারতাম। দেখেন, ভিন্নরকম পরিস্থিতি ভিন্নরকম ফল আসে, সেরকম করে খেলতে হয়। স্পিনারদের দিয়ে বেশি ওভার করানো কাল যেমন আমাদের ফল দিয়েছে।’

পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথম ৪ ম্যাচের ৩টি জিতে সিরিজ জয় নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। সিরিজের সবশেষ ম্যাচে আগামীকাল (সোমবার) সন্ধ্যা ৬টায় মাঠে নামবে দুই দল।

টিআইএস/এটি/এনইউ