বয়সভিত্তিক দলে আলো ছড়িয়ে আলোচনায় এসেছেন শামীম পাটোয়ারী। তাকে নিয়ে প্রত্যাশা অনেক। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য শামীম ঘরোয়া ক্রিকেটেও নিজের নাম উজ্জ্বল করেছেন। ব্যাটে, বলে, ফিল্ডিংয়ে- তিন বিভাগেই নিজের সেরাটা দিয়ে খেলার চেষ্টা আছে তার মধ্যে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের ২য় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় তার। আজ (রোববার) ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন শামীম।

অভিষেক ম্যাচে ১৩ বলে ২৯ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেললেও ম্যাচ জেতাতে পারেননি তিনি। আজ ২য় ম্যাচে পেরেছেন। খেলেছেন ১৫ বলে ৩১ রানের অপরাজিত ইনিংস। তার এই দ্রুতগতির ইনিংসে ভর করেই জিম্বাবুয়ের ১৯৩ রান তাড়া করে ম্যাচ জিতে যায় বাংলাদেশ। কঠিন জয়কে সহজ করে দিয়েছে শামীমের ৩১ রানের ওই ছোট্ট ক্যামিও। শেষ অবধি ৫ উইকেটে জয়ের পাশাপাশি সিরিজও জিতে নেয় টাইগাররা।

ম্যাচ শেষে শামীম জানান, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সহজ জায়গা নয়। এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, ‘আসলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অনেক কষ্টের। এতদিন অনূর্ধ্ব-১৯ খেলেছি, ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ খেলেছি, তার থেকে একেবারেই আলাদা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। যা এখানে এসে বুঝতে পেরেছি।’

সঙ্গে যোগ করেন শামীম, ‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খারাপ বল কম পাওয়া যায়। বেশিরভাগ সময়ই ভলো বল আসে। আর এই ভালো বলগুলো হিট করতে হয়, বাউন্ডারি মারতে হয়, অনেক প্রক্রিয়া ঠিক রেখে খেলতে হয়, দায়িত্ব নিতে হয়।’

মাঝে মধ্যে দু-একজন ঝলক দেখালেও বাংলাদেশ দলে একজন ভালো মানের ফিনিশারের অভাব সব সময়ের। শেষদিকে পাওয়ার হিটিংয়ে ম্যাচ বের করতে পারেন এমন খেলোয়াড় নেই বললেই চলে। ক্যারিয়ারের ১ম দুই ম্যাচেই শামীম সেই কাঙ্ক্ষিত পাওয়ার হিটার ফিনিশারের ভূমিকা নেওয়ার চেষ্টা করেছেন। অবশেষে এই জায়গাটায় কিছুটা হলেও আশার আলো দেখালেন তিনি। চাঁদপুরের এই অলরাউন্ডারকে ঘিরে নতুন স্বপ্ন দেখতেই পারে বাংলাদেশ। 

টিআইএস/এমএইচ