জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে আধিপত্য দেখিয়ে জিতেছে বাংলাদেশ দল। তিন ম্যাচ জিতেই স্বাগতিকদের ধবলধোলাইয়ের স্বাদ দিয়েছে টাইগাররা। দলীয় পারফরম্যান্সের সঙ্গে ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সেও আলো ছড়িয়েছেন সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবালরা। সিরিজ শেষে তার পুরষ্কারও বুঝে পেয়েছেন তারা। আইসিসির ওয়ানডে র‍্যাঙ্কিংয়ে বোলারদের তালিকায় সেরা দশে উঠে এসেছেন সাকিব। এগিয়েছেন ব্যাটিং বিভাগেও। সাকিবের সঙ্গে ব্যাটিং বিভাগে উন্নতি হয়েছে তামিম ইকবালের।

নিষেধাজ্ঞা থেকে ফিরে পায়ের নিচে মাটি খুঁজে পাচ্ছিলেন না সাকিব। বল হাতে কোনোরকম কাজ চালিয়ে নিলেও নিজ ব্যাটে রানের দেখা পাচ্ছিলেন না। অলরাউন্ডার সাকিবকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না মাঠের পারফরম্যান্সে। জিম্বাবুয়ে সিরিজে বাজিমাত করেন সাকিব। শতক না পেলেও ৯৬ রানের অপরাজিত এক ইনিংস খেলে দলকে জেতান তিনি।

জিম্বাবুয়ের মাটিতে স্বাগতিকদের হোয়াইটওয়াশ করা সিরিজে বাঁহাতি স্পিনে ঝলক দেখিয়ে ৮ উইকেট নেন সাকিব। তিনিই সিরিজের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি। এর পুরষ্কার স্বরূপ বুধবার আইসিসি ওয়ানডের যে র‍্যাঙ্কিং হালনাগাদ তালিকা প্রকাশ করেছে, সেখানে বোলিং বিভাগে ৮ নম্বরে জায়গা পেয়েছেন তিনি। তিন ম্যাচে ব্যাট হাতে ১৪৫ রান করেছেন সাকিব। এতে ব্যাটসম্যানদের ক্যাটাগরিতে তিন ধাপ উপরে উঠে আছেন ২৮তম স্থানে।

সাকিবের মতো ব্যাটিং বিভাগে এগিয়েছেন এই ফরম্যাটের বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক তামিম ইকবাল। তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে ব্যাট হাতে সুবিধা করতে না পারলেও চোট নিয়ে খেলে তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে ক্যারিয়ারের ১৪তম শতক তুলে নেন তিনি। খেলেন ১১২ রানের অনবদ্য এক ইনিংস। এতে র‍্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে তালিকার ২৩ নম্বরে উঠে এসেছেন তামিম।

পারিবারিক কারণে এই ওয়ানডে সিরিজে না খেললেও বাংলাদেশিদের মধ্যে ব্যাটসম্যানদের র‍্যাঙ্কিংয়ে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছেন মুশফিকুর রহিম, তার অবস্থান ১৪তম। সাকিব আল হাসান অবস্থান করছেন ২৮তম স্থানে। তামিম ২৩, এছাড়া মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ৪১তম, লিটন দাস ৪৫তম, সৌম্য সরকার ৫৬তম এবং সাব্বির রহমান ৯৩তম অবস্থানে রয়েছেন।

টিআইএস