সংক্ষিপ্ত স্কোর:
আয়ারল্যান্ড: ৫০ ওভারে ২৯০/৫ (স্টার্লিং ২৭, বালবার্নি ১০২, ম্যাকব্রাইন ৩০, টেক্টর ৭৯, ডকরেল ৪৫; ফেলুকওয়ায়ো ৭৩-২, মহারাজ ৫০-১, শামসি ৪২-১)
দক্ষিণ আফ্রিকা: ৪৮.৩ ওভারে ২৪৭ (মালান ৮৪, ফন ডার ডাসেন ৪৯; ইয়াং ৩৪-১, অ্যাডায়ার ৪৩-২, লিটল ৪৫-২, ম্যাকব্রাইন ৩৪-২)
ফল: আয়ারল্যান্ড ৪৩ রানে জয়ী।
সিরিজ: তিন ম্যাচের সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে আয়ারল্যান্ড।
ম্যাচসেরা: অ্যান্ডি বালবার্নি।

ঘটনের আভাস পাওয়া যাচ্ছিল আয়ারল্যান্ড ইনিংসের শেষ থেকেই। ২৯০ রানের লক্ষ্য যে শেষ পাঁচ বছরে দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য রীতিমতো অলঙ্ঘনীয়! শেষমেশ ঘটেছে সেই অঘটনই। প্রোটিয়াদের ৪৩ রানে হারিয়ে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো তাদের বিপক্ষে জয়ের স্বাদ পেয়েছে আইরিশরা।

সিরিজের প্রথম ওয়ানডেটা ভেসে গিয়েছিল বৃষ্টিতেই। ডাবলিনে গতকাল সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে পল স্টার্লিং আর অ্যান্ডি বালবার্নির ব্যাটে চড়ে শুরুটা দারুণ পেয়েছিল স্বাগতিকরা। পাওয়ার প্লে পার করা তাদের উদ্বোধনী জুটি করে ৬৪ রান। কেশভ মহারাজের বলে আউট হওয়ার আগে ২৭ রান করেন স্টার্লিং। 

তবে অন্য প্রান্তে বালবার্নি ছিলেন অপ্রতিরোধ্য। ৫০ রানে তুলে নিয়েছিলেন অর্ধশতক। পেয়েছিলেন অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইনের যোগ্য সঙ্গও। বালবার্নি ৫০ পার করার পর নিজেও কিছুটা খোলসে ঢুকে গিয়েছিলেন। 

দুজনের পঞ্চাশোর্ধ্ব জুটির পর ম্যাকব্রাইন ফেরেন তাবরাইজ শামসির বলে এলবিডব্লিউ হয়ে। তবে রয়েসয়ে খেলা বালবার্নি সেঞ্চুরির দিকে এগোতে থাকেন শতকের কাছাকাছি। শেষমেশ ১১৪ বলে ছুঁয়ে ফেলেন ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ শতক। তবে সেঞ্চুরির পর যেই হাত খুলতে গেলেন, বনে গেলেন রাবাদার শিকার। ১১৭ বলে ১০ চার আর ২ ছক্কায় ১০২ রানের ইনিংস খেলে ফেরেন তিনি। 

এরপর জর্জ ডকরেল ও টেক্টরের ব্যাটে দ্রুত রান আইরিশদের নিয়ে যাচ্ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার ধরাছোঁয়ার বাইরে। টেক্টর অর্ধশতক তুলে নেন ৫৪ বলে। পরের ১৪ বলে যেন আরও বিধ্বংসী রূপ নেন তিনি, এ সময় তিনি তুলেছেন ২৯ রান। আর ডকরেল করেন ২৩ বলে ৪৫। তাদের ৯০ রানের জুটিতে আইরিশদের পুঁজি গিয়ে ঠেকে ২৯০ রানে।

২০১৬ সালে সর্বশেষ ২৯০ এর বেশি রান তাড়া করে জিতেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। সেবার অস্ট্রেলিয়ার দেওয়া ২৯৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করেছিল প্রোটিয়ারা। এরপর থেকেই এই লক্ষ্য যেন দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে রীতিমতো মাউন্ট অলিম্পাস।

এ পরিসংখ্যান তো ছিলই, শুরুতে আউট হয়ে কাজটা কঠিন করে দিয়েছিলেন এইডেন মার্করাম ও টেম্বা বাভুমা। এরপর ইয়ানেমান মালানের সঙ্গে মিলে রাসি ফন ডার ডাসেনের জুটি পরিস্থিতি সামাল দেয়। তৃতীয় উইকেটে যোগ করেন শতরান। 

৪ ছক্কা ও ৭ চারে ৮৪ রান করা মালানকে থামান জর্জ ডকরেল। পরের ওভারেই ম্যাকব্রাইন ডাসেনকে ফেরালে দক্ষিণ আফ্রিকা ইনিংসে শুরু হয় ধ্বসের। এরপর থেকে নিয়মিত বিরতিতে হারাতে থাকে উইকেট। থামে ২৪৭ রানে। তাতেই ইতিহাস গড়ে ফেলে আয়ারল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারায় ৪৩ রানে। সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে দুই দল লড়বে আগামী বৃহস্পতিবার।

এনইউ/এটি