ফাইল ছবি

অনূর্ধ্ব-১৯ দল বিশ্বকাপ জয়ের আগে বাংলাদেশ ক্রিকেট ইতিহাসের সেরা সাফল্য এনে দিয়েছিলেন নারীরা। সালমা খাতুন, জাহানারা আলমদের হাত ধরে প্রথমবার এশিয়া কাপ জয়ের স্বাদ পায় বাংলাদেশ। এবার জাতীয় দলের পাশাপাশি বয়সভিত্তিক নারী দলকেও ঢেলে সাজাতে চায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এজন্য ভিডিও দেখে প্রতিভা অন্বেষণের কাজ শুরু করেছে তারা।

ছেলেদের পাশাপাশি নারী ক্রিকেটকে প্রসারিত করতে চায় বোর্ড। এজন্য একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে তারা। তৃণমূল পর্যায়ের নারীদের তুলে আনতে কাজ শুরু করেছে বিসিবি। এজন্য ক্রিকেটার হতে চাওয়া নারীদের তাদের খেলার কিছু ভিডিও চিত্র পাঠাতে হবে। সেটি দেখেই মূল দল বাছাই করবে বিসিবি।

শুরুতে মূলত অনূর্ধ্ব-১৭ দল বাছাই করা হবে। যেখানে জেলা দলের পাশাপাশি অনূর্ধ্ব-১৭ জাতীয় দলও বেছে নেবে বিসিবি। এজন্য অবশ্য বয়সের সীমাবদ্ধতা আছে। এই প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমকে বিস্তারিত জানান বিসিবির নারী বিভাগের চেয়ারম্যান শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল।

তিনি বলেন, ‘ভিডিও ফুটেজ পাঠানোর জন্য আমরা বলেছি। আমরা ৭ থেকে ১৭ জানুয়ারির মধ্যেই ভিডিও ফুটেজগুলো সংগ্রহ করবো। এবং এই জায়গা থেকে আমাদের বাছাই প্রক্রিয়াটা শুরু করবো।’

বয়সের সীমাবদ্ধতার কথা জানিয়ে নাদেল বলেন, ‘আইসিসিতে ১৪ বছরের নিচে কারো অংশগ্রহণ করার সুযোগ নেই এবং আমরা সেটা করছিনা। আমরা ১লা সেপ্টেম্বর ২০০৩ থেকে ৩১ আগস্ট ২০০৬ এই সময়সীমায় যারা জন্মগ্রহণ করেছে, তারাই আমাদের এই প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করবে। এই ভিডিও ফুটেজগুলো তারা নিজস্ব উদ্যোগে আমাদের কাছে পাঠাবে।’

বাছাই প্রক্রিয়া সম্পর্কেও ধারণা দেন নাদেল। শুরুতে প্রতিটি জেলা থেকে ৪০ জনকে সুযোগ দেওয়া হবে ক্যাম্পে। সেখান থেকে বাছাই করা হবে জেলা দল। এরপর জাতীয় পর্যায়ে সুযোগ পাবেন ৬০ জন মেয়ে। সেখানে তাদের স্কিল ট্রেনিং শেষে চূড়ান্তভাবে ৩৯ জনকে রাখা হবে জানান তিনি। যারা ভবিষ্যৎ জাতীয় দলের ভাবনায় থাকবেন।

দল নির্বাচনের দায়িত্ব কারা থাকবেন সেটিও জানান নাদেল, ‘এটি আমাদের বিভাগীয় কোচ যারা রয়েছেন তারাই এখন সমন্বয় করছেন। নির্বাচক হিসেবেও তারাই রয়েছেন। আমাদের গেম ভেভেলপমেন্টের যখনই প্রয়োজন হবে এবং নারী বিভাগ আমরা এই প্রক্রিয়ায় যুক্ত হবো।’

টিআইএস/ এমএইচ