একাদশেই ছিলেন না, সেই নাসিমই ব্যাটিং শেখালেন বাবর-রিজওয়ানদের!
হ্যামিল্টনের সিডন পার্কে দ্বিতীয় ওয়ানডে খেলতে নেমেই সমর্থকদের নতুন দুঃসংবাদ শোনায় পাকিস্তান। টস দিতে নেমে চোটের কারণে এই ম্যাচ থেকে নাসিম শাহ’র ছিটকে যাওয়ার কথা জানান অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ান। এই ডানহাতি পেসারই পরে হারিস রউফের কনকাশন সাব হিসেবে নেমে পাকিস্তানকে বড় লজ্জা থেকে বাঁচিয়েছেন। ব্যাটিং শিখিয়েছেন বাবর-রিজওয়ানসহ স্বীকৃত ব্যাটারদের!
এক ম্যাচ হাতে রেখেই আজ পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জিতে নিয়েছে নিউজিল্যান্ড। যেখানে সফরকারীদের প্রথম ৬ ব্যাটার মিলে করেছেন ৩২ রান। ব্যাট হাতে পুরোদমে ব্যর্থ বাবর আজম (১), রিজওয়ান (৫), ইমাম-উল-হক (৩), আব্দুল্লাহ শফিক (১) ও সালমান আলি আগার (৯) মতো টপ অর্ডাররা। অর্থাৎ, ছয় নম্বরে নামা তৈয়ব তাহিরই (১৩) প্রথম দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পেরেছেন। ফলে মোহাম্মদ রিজওয়ানের দলও বড় হারের ক্ষণ গুনছিল। সেই হার এড়াতে না পারলেও, টেল-এন্ডারে ব্যবধান কমিয়েছেন নাসিম ও ফাহিম আশরাফ।
বিজ্ঞাপন
নবম উইকেটে পাকিস্তানের এই দুই ব্যাটার মিলে ৬০ রানের জুটি গড়েন। যদিও ফাহিমের ৭৩ ও নাসিমের ৫১ রানের পরও অবশ্য পাকিস্তান ৪১.২ ওভারেই ২০৮ রানে অলআউট হয়ে যায়। তবে ফাহিম-নাসিম রান না পেলে ৭২ রানে ৭ উইকেট হারানো পাকিস্তান আরও বড় লজ্জায় পড়তে পারত। উভয়ই আন্তর্জাতিক ওয়ানডেতে প্রথম ফিফটি করলেন এই ম্যাচে। পাকিস্তানের দ্বিতীয় কোনো ব্যাটার হিসেবে ১১ নম্বরে নেমে অর্ধশতক করলেন নাসিম।
অথচ কিউইদের বিপক্ষে এই ম্যাচ থেকে নাসিমের ছিটকে যাওয়ার খবর দিয়েছিলেন রিজওয়ান। যদিও তার চোটের ধরন ও মাত্রা নিয়ে স্পষ্ট কিছু জানা যায়নি। নাসিমের পরিবর্তে এই ম্যাচে পাকিস্তানের একাদশে ঢোকেন ওয়াসিম জুনিয়র। অন্যদিকে, প্রথম ইনিংসে পুরো ১০ ওভারের কোটা পূরণ করেছিলেন হারিস রউফ। ৭৫ রান খরচায় নেন ১টি উইকেট। তবে ব্যাটিংয়ের সময়ই তিনি চোট পান। কিউই পেসার উইলিয়াম ও’রুর্কের একটি বাউন্স ডেলিভারি আঘাত করে রউফের মাথায়। পরে ফিজিও এসে পরীক্ষা করে তাকে মাঠ থেকে তুলে নেন।
আরও পড়ুন
হারিস রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে উঠে যাওয়ার পর মাঠে নামেন আকিফ জাভেদ। খানিক বাদেই তিনি আউট হতে ব্যাট হাতে নামতে দেখা যায় নাসিমকে। পরে জানা যায় তিনি হারিস রউফের কনকাশন সাব হিসেবে নেমেছেন। পাকিস্তানের হয়ে ওয়ানডেতে ১১ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে এতদিন একমাত্র ফিফটি ছিল মোহাম্মদ আমিরের। ২০১৬ সালে তিনি ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৫৮ রান করেন। নাসিম দেশটির ক্রিকেটে দ্বিতীয় এগারতম ব্যাটার হিসেবে ওয়ানডেতে ফিফটি করেছেন। ওই পজিশনে নেমে পাকিস্তানের তৃতীয় সর্বোচ্চ (২০০৩, ইংল্যান্ড) ৪৩ রান করেন পেস কিংবদন্তি শোয়েব আখতার।
এএইচএস