করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে জৈব সুরক্ষা বলয় মেনে ১২টি দল নিয়ে টুর্নামেন্ট আয়োজন করা বেশ চ্যালেঞ্জিং। সেই চ্যালেঞ্জ হাতে নিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। আগামী ৩১ মে থেকে শুরু হচ্ছে ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের স্থগিত থাকা আসর। ডিপিএল চলাকালীন সুরক্ষা বলয় তৈরি থেকে নিরাপত্তা ইস্যুতে সব খরচ বহন করবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। এরপরেও যদি কোনো ক্রিকেটার বা কর্মকর্তা কোভিড প্রোটকল ভাঙেন, তবে শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে তাদের। এমনকি হতে পারেন বহিষ্কৃতও।

সিসিডিএমের সদস্যসচিব আলী হোসেন আজ (বৃহস্পতিবার) ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘টুর্নামেন্ট হবে আন্তর্জাতিক সিরিজের প্রোটোকল মেনে। নিরাপত্তা ইস্যুতে কোনো ছাড় দেব না। এজন্য যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। আজ দলগুলোর কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক ছিল, সেখানে তাদের কারণীয় লিখিত আকারে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। অনুশীল থেকে ম্যাচ, হোটেল, সবখানেই সুরক্ষা বলয়ের মধ্যে থাকবে ক্রিকেটাররা।’

সুরক্ষা বলয় তৈরি করে এর আগে সর্বোচ্চ ৮টি দল নিয়ে জাতীয় ক্রিকেট লিগ ও ৫টি দল নিয়ে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ নামক একটি টুর্নামেন্ট আয়োজন করেছিল বিসিবি। সেই টুর্নামেন্টর ভুলত্রুটিগুলো থেকে শিক্ষা নিয়ে ১২ দলের ডিপিএল আয়োজনের পথে হেঁটেছে ক্রিকেট বোর্ড। ১২টি দল থাকবে ৪টি পাঁচতরকা হোটেলে। সেখান থেকে তাদের মাঠে আনা-নেওয়ার জন্য আলাদা ১২টি বাসের ব্যবস্থা করেছে বিসিবি। খাওয়াদাওয়া থেকে শুরু করে সুরক্ষা বলয়ের যাবতীয় খরচ বহন করবে বোর্ড।

এর আগে এনসিএল মাঠে ফিরলেও সেটি দুই রাউন্ড পর স্থগিত হয়ে যায়। সেই টুর্নামেন্ট চলাকালীন একাধিক ক্রিকেটার, সাপোর্ট স্টাফ এমনকি ম্যাচ অফিশিয়ালরাও করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। অভিযোগ ছিল কেউই সুরক্ষা বলয় মানতে চান না। এবারও যদি এমন করেন কেউ, তাহলে তার জন্য কঠোর সাজা অপেক্ষা করছে বলে জানান আলী হোসেন।

তিনি বলেন, ‘এবার সুরক্ষা বলয় ভাঙলে তাকে শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। আর্থিক জরিমানা থেকে শুরু করে বহিষ্কার করা হতে পারে। এব্যাপারে ক্লাবগুলোকে সর্বোচ্চ দিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। দরকার হলে দলের পয়েন্টও কাটা হবে। বিষয়গুলো দেখার জন্য আমাদের প্রতিনিধি থাকবে সব জায়গায়।’

টিআইএস/এমএইচ