বাংলাদেশের প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) চলতি আসরে প্রথমবার ‘অবস্ট্রাক্টিং দ্য ফিল্ড’ আউটের নজির দেখা গেল আজ (বৃহস্পতিবার)। ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে রানতাড়া করতে নামা রংপুর রাইডার্সের শেখ মেহেদী সেই দুর্ভাগ্যের শিকার। জাহানদাদ খানের ডেলিভারি খেলতে গিয়ে মেহেদীর ব্যাটে লেগে ওপরে ওঠে যায় বলটি। বোলার ক্যাচটি নিতে দৌড়ে যান, কিন্তু একই লাইনে নন-স্ট্রাইক থেকে নুরুল হাসান সোহান সিঙ্গেল রান নিতে দৌড়ানোয় জাহানদাদ ব্যর্থ হয়েছেন।

পরে শেখ মেহেদীকে আউটের সিদ্ধান্ত দেন থার্ড আম্পায়ার। বোলারের পথে সোহান বাধা দিলেও, কেন মেহেদী আউট হলেন তা নিয়ে আলোচনা উঠেছে। যার ব্যাখ্যা দিয়েছেন ফরচুন বরিশালের ব্যাটিং কোচ নাফিস ইকবাল। দ্বিতীয় ইনিংসের ১৯তম ওভারে ব্যাটিংয়ে নেমে ‘ফিল্ডারের বাধা হওয়ার’ দায়ে আউট হয়ে যান শেখ মেহেদী। যদিও জাহানদাদকে ক্যাচ ধরতে বাধা দিয়েছেন সোহান।

ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে নাফিস ইকবাল বলেন, ‘আম্পায়ারের কথা অনুযায়ী যে হিট করে সে আউট হয়। তবে ক্যাচের সামনে আসা ব্যক্তি নাকি হিট করা ব্যাটার আউট হবে– এটা নিয়ে কনফিউশন ছিল, যা নিয়ে এখনও আলাপ-আলোচনা চলছে। তবে আম্পায়ারের কথা অনুযায়ী, যে ব্যাটে হিট করে বা যার ক্যাচ নেওয়ার জন্য যায় সে আউট হয়। যেহেতু আম্পায়ার এমনটা জানিয়েছে, আমরাও তা মেনে নিয়েছি।’

বিষয়টি নিয়ে অবশ্য স্পষ্ট বলা হয়েছে এমসিসি আইনের ৩৭.৩.১ ধারায়। যেখানে ক্যাচের ক্ষেত্রে ‘অবস্ট্রাকটিং দ্য ফিল্ড’ সম্পর্কে বলা হয়েছে— ‘যদি ডেলিভারি ‘‘নো’’ না হয়ে থাকে, তাহলে যে ব্যাটসম্যানই ক্যাচে বাধা দিক না কেন, আউট হবেন স্ট্রাইকে থাকা ব্যাটসম্যান।’

পরে এ ব্যাপারে রংপুর অধিনায়ক সোহান জানিয়েছেন, ‘ইচ্ছাকৃতভাবে কিছু করা হয়নি। আমিও রান নেওয়ার জন্য যাচ্ছিলাম, আমি চাচ্ছিলাম স্ট্রাইক (প্রান্ত বদল করতে) নিতে। (ফিল্ডার) আমার সামনে যেহেতু এসেছে, আম্পায়ার আবার বলছিল যার স্ট্রাইক সে আউট হবে। বল মাটিতে থাকলে হয়তো জিনিসটা অন্যরকম হতো। বাতাসে থাকায় ভিন্ন কিছু হয়েছে। ক্যাচের সুযোগ ছিল। আমি আমার পথ পরিবর্তন করিনি। যেদিকে যাচ্ছিলাম সেদিকেই গিয়েছি এক রানের জন্য।’

রংপুর-বরিশালের ম্যাচটি শেষও হয়েছে নাটকীয়ভাবে। শেষ ওভারে ২৬ রান প্রয়োজন পড়লেও, রংপুর অধিনায়ক বরিশালের পেস অলরাউন্ডার কাইল মায়ার্সকে ৩টি করে চার-ছক্কা হাঁকিয়ে ৩০ রান তুলে নেন। ফলে ১৯৮ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ৩ উইকেট হাতে রেখে জিতেছে রংপুর। যা চলতি আসরে খেলা ৬ ম্যাচের সবকটিতেই ফ্র্যাঞ্চাইজিটির জয়।

এসএইচ/এএইচএস