সাধারণ ফুটবল প্রতিযোগিতার পাশাপাশি বিচ ও ফুটসাল বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করছে ধীরে ধীরে। ফিফা, এএফসি এই টুর্নামেন্ট নিয়মিত আয়োজন করে। বাফুফে গত এক যুগে এই সংক্রান্ত স্ট্যান্ডিং কমিটি থাকলেও মাঠে আয়োজন দেখা যায়নি।

অবশেষে বাফুফে প্রথমবারের মতো বিচ ফুটবল প্রতিযোগিতা আয়োজন করেছে। যদিও সেটা জাতীয় পর্যায়ে নয়। কক্সবাজারে স্থানীয়ভাবে একদিন ব্যাপী টুর্নামেন্ট হয়েছে। সেখানে প্রতি দলে নয় জন করে খেলোয়াড় এবং ত্রিশ মিনিট করে ম্যাচ হয়।

লাবণীকে হারিয়ে বাকখালী টাইব্রেকে ৫-৪ গোলে চ্যাম্পিয়ন হয়। আজকের প্রতিযোগিতা বাফুফে আয়োজন করলেও ব্যবস্থাপনা ছিল মূলত কক্সবাজার জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের। এই আয়োজনের মূল লক্ষ্য সরকারের তারুণ্যের উৎসবে অংশীদার হওয়া।

২০১১ সালে বাংলাদেশ সাফ বিচ ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। সেই দলের অধিনায়ক ছিলেন গোলরক্ষক বিপ্লব ভট্টাচার্য্য। দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলে এই সাফল্যে বিচ ফুটবল নিয়ে আলোচনা হলেও বাফুফে কখনো এই জাতীয় প্রতিযোগিতা আয়োজন করেনি। বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল আই নিজস্ব উদ্যোগে গত কয়েক বছর বিচ ফুটবল আয়োজন করেছে।

বিচ ফুটবল ফেডারেশনের অধীনে আয়োজিত না হলেও একবার ফুটসাল হয়েছিল। সেই আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ব্রাদার্স ইউনিয়ন। বাফুফের নতুন কমিটি দায়িত্ব নেয়ার পর বিচ ফুটবলের অচলায়তন কিছুটা হলেও ভাঙতে পেরেছে। প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব ফর্টিজ এফসির সভাপতি শাহীন হাসান এই কমিটির প্রধান। এই কমিটি এখনো পূর্ণাঙ্গ প্রকাশ না হলেও অন্তত একটি কার্যক্রমের দেখা মিলল। 

এজেড/এইচজেএস