লম্বা সময় ধরে জাতীয় দলের বাইরে আছেন সাব্বির রহমান। সম্ভাবনাময় এই হার্ডহিটার এক সময় ছিলেন দলের অবিচ্ছেদ্য অংশ। কিন্তু গত দুই বছর ধরে জাতীয় দলের বাইরে তিনি। ২০২২ সালে সর্বশেষ পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে দেখা গিয়েছিল তাকে।

এমনকি গত কয়েক বছর ধরে শীর্ষ ঘরোয়া আসরগুলোতেও দল পেতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাকে। তবে সম্প্রতি লঙ্কা টি-টেনে ফর্মে ফেরার আভাস দিয়েছেন। তবে জাতীয় দলে ফিরতে হলে আরো একবার নিজেকে প্রমাণ করতে হবে তাকে। সাব্বির আশাবাদী, তিনি সেটা পারবেন।

আজ বুধবার মিরপুরে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সাব্বির বলেন, ‘(জাতীয় দলের জন্য) তৈরি তো অবশ্যই হচ্ছি। বয়স তো এখনও বাকি আছে আমার। চেষ্টা করছি কামব্যাক করার। এজন্যই মাঠে আসছি, অনুশীলন করছি। বিপিএলে সুযোগ পেয়েছি, বাইরের দেশে খেলতে যাচ্ছি। আশা তো সবাই করে। আমার পরিবারও করে, আমিও করি। আশাটা কীভাবে পূরণ হবে, সেটা ভালো খেলার পরে। তো চেষ্টা করব ভালো খেলে আবার কামব্যাক করার জন্য।’

মিরপুরের মতো দেশের সব বিভাগীয় স্টেডিয়ামে সুযোগ-সুবিধা চান সাব্বির। তিনি বলেন, ‘বিষয়টা হচ্ছে আপনি কোথায় অনুশীলন করতে চান। যদি মিরপুরে করেন, তাহলে এটা অসম্ভব। কারণ এখানে জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা থাকে। এই সুবিধা যদি সব বিভাগে ছড়িয়ে দেওয়া যায়, যারা ত্রিশ জনের বাইরে থাকবে বা পাইপলাইনের বাইরে থাকবে, তারা সেখানে ব্যবহার করতে পারবে। মেশিন বা স্ল্যাব ব্যবহার করতে পারবে।’ 

‘আমি নিজের খরচে স্ল্যাব কিনেছি, মেশিন ব্যবহার করেছি। উদীয়মান যারা আছে, তাদের হয়তো সেই সামর্থ্য নাও থাকতে পারে। আমার মনে হয়েছে, এই পরিকল্পনাটা সব বিভাগের জন্য করা উচিত। যেন এই সুবিধাগুলো কাজে লাগিয়ে কামব্যাক করতে পারে। আমি মিরপুরে আসতে পারি না, কারণ এখানে অনেক বুকিং থাকে। এক ঘণ্টা বা আধঘণ্টা অনুশীলন করে মজা পাওয়া যায় না। আমি সারা দিন অনুশীলন করতে চাই। এখানে সারাদিনের অনুশীলন হবে না। তাই আমি নিজের শহরে এই সেট-আপ করি। সারাদিন সেখানে অনুশীলন করি। আমি এটা নিজের মতো করে করে ফেলি। বাকিটা জানি না বিষয়টা। তো এই সেট-আপ যেন সব বিভাগে হয়।’-যোগ করেন তিনি।

এসএইচ/এইচজেএস