২২ দিনে ৮ ম্যাচ, ম্যারাথন সূচিতে আতঙ্কিত ইংল্যান্ড
ক্রিকেটের দুই জায়ান্ট অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের মধ্যকার অ্যাশেজ সিরিজ বেশ ঐতিহ্যবাহী ও রোমাঞ্চকর লড়াইয়ের জন্ম দেয়। ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েরাও এই সিরিজ খেলে আসছে। নতুন বছরের (২০২৫) শুরুতে তিন ফরম্যাটের পূর্ণাঙ্গ অ্যাশেজ সিরিজে মুখোমুখি হবে অস্ট্রেলিয়া ও ইংলিশ মেয়েরা। সেই সিরিজের সূচি হয়েছে বেশ টাইট (অল্প সময়ে), ২২ দিনে তাদের একটি টেস্টসহ ৮টি ম্যাচ খেলতে হবে।
ম্যারাথন এই সিরিজের সূচি নিয়ে আতঙ্কের কথা জানিয়েছেন ইংল্যান্ড নারী দলের কোচ জন লুইস। তিনি বলছেন, ‘সূচি খুবই ঘন। আমি মনে করি না যে, প্লেনে ভ্রমণের পরদিনই আমাদের আরেকটি ম্যাচ খেলা কোনো ভালো বিষয়, এরপর একদিন বিরতি দিয়ে আরেকটি ম্যাচ। এটি খুবই কঠিন এবং আমার মনে হয় আমাদের বিষয়গুলো নিয়ে ভাবতে হবে।’
বিজ্ঞাপন
তিন ফরম্যাটের অ্যাশেজ সিরিজ খেলতে আগামী জানুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়ায় সফর করবে ইংলিশ নারী দল। যেখানে ১২, ১৪ ও ১৭ জানুয়ারি তিনটি ওয়ানডে, ২০, ২৩ ও ২৫ জানুয়ারি তিনটি টি-টোয়েন্টি এবং ৩০ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত একটি দিবারাত্রির (চারদিনের) টেস্ট খেলবে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া। আবার সিরিজ শুরুর তিনদিন আগে (৯ জানুয়ারি) ৫০ ওভারের একটি প্রস্তুতি ম্যাচও আছে দুই দলের। সবমিলিয়ে ২২ দিনে তাদের ৮টি ম্যাচ খেলতে হবে।
এর আগে ২০১৩-১৪ মৌসুমে অ্যাশেজে নিজেদের শেষ টেস্ট ম্যাচ জিতেছিল ইংল্যান্ড। এরপর আর অজিদের বিপক্ষে জেতা হয়নি হিদার নাইটের দলটির। এবার মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে (এমসিজি) ঐতিহাসিক টেস্ট ম্যাচ হতে যাচ্ছে দীর্ঘ ৭৫ বছর পর। ১৯৪৯ সালে সর্বশেষ কোনো নারী দল এই ভেন্যুতে টেস্ট খেলেছিল। তবে এবার দিবারাত্রি ও পিঙ্ক বলের এই রোমাঞ্চকর টেস্ট ম্যাচের আগে ব্যস্ত সূচি ভাবাচ্ছে দুই দলকে।
আরও পড়ুন
ব্যস্ত সূচি মানেই ইনজুরির প্রবল ঝুঁকি। সেই ঝুঁকি কমাতে ইংল্যান্ড তিন ফরম্যাটে এমনভাবে স্কোয়াড গড়েছে, যেন কেউ ইনজুরিতে পড়লেও তাদের বেশি সমস্যা না হয়। প্রতিটি পজিশনে তারা বিকল্প অপশন রেখে বড় স্কোয়াড ঘোষণা করেছে।
এর আগে মেয়েদের সর্বশেষ অ্যাশেজ সিরিজ গড়িয়েছিল ইংলিশদের ভূমিতে। যেখানে ট্রেন্ট ব্রিজে টেস্টে জয় দিয়ে সফরকারী অজিরা সফর শুরু করে। পরে সাদা বলের দুই ফরম্যাটেই সিরিজ জিতে ইংল্যান্ড।
এএইচএস