সাধারণত যেকোনো দলই ঘরের মাঠের সিরিজে নিজেদের পছন্দসই উইকেট ও কন্ডিশনে প্রতিপক্ষে ঘায়েল করার চেষ্টায় থাকে। তবে পছন্দের পিচেও অনেক সময় নিজেদের জন্যই ফাঁদ পেতে বসে কোনো কোনো স্বাগতিক দেশ। ভারত নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে নিজেদের মাঠে এমন নজির দেখিয়েছিল। বর্তমানে তারা অস্ট্রেলিয়ার মাঠে খেলছে বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফি। চতুর্থ টেস্টে দুই দল মুখোমুখি হবে আগামীকাল (বৃহস্পতিবার)।

বক্সিং ডে টেস্টে দুই দলেরই লক্ষ্যে থাকবে জয়। ইতোমধ্যে অ্যাডিলেডে হার ও ব্রিসবেন টেস্ট ড্র হওয়ায় সফরকারী ভারত ব্যাকফুটে রয়েছে। বৃষ্টির বাগড়া না দিলে, তৃতীয় টেস্টও রোহিত-বুমরাহদের বিপক্ষে যাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা ছিল। বর্তমানে সিরিজে ১-১ সমতায় রয়েছে প্যাট কামিন্স ও রোহিত শর্মার দল। এমন অবস্থায় পরের টেস্টের পিচ কেমন থাকছে এবং তাতে কারাই বা ফাঁদে পড়তে যাচ্ছে এমন জল্পনা শুরু হয়েছে।

মেলবোর্ন ক্রিকেটে গ্রাউন্ডে (এমসিজি) হবে ভারত-অস্ট্রেলিয়ার চতুর্থ টেস্ট। সেখানে কেমন পিচ থাকবে তার একটি ধারণা দিয়েছেন কিউরেটর ম্যাচ পেজ, ‘বিগত কয়েক বছর ধরে আমরা যেমন পিচ বানিয়ে আসছি তার জন্য খুশি। আমাদের মনে হয় না সেটা বদলানোর কোনো প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।  আমরা ইতিমধ্যেই তিনটি ভিন্ন পিচে তিনটি ভালো টেস্ট ম্যাচ উপভোগ করেছি। তাই আমাদের লক্ষ্য বিগত কয়েক বছর ধরে যা করে আসছি তার অনুকরণে কিছু গড়ে তোলা, যাতে একটা উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচের সাক্ষী হতে পারি।’ 

চোটের শঙ্কা উড়িয়ে অস্ট্রেলিয়ার একাদশে আছেন ট্রাভিস হেড

গত কয়েক বছর ধরেই মেলবোর্নের পিচে ৬ মিলিমিটার পুরু ঘাস রাখা হয়ে আসছে, উইকেটেও বদল এসেছে অনেক। সেটি মাথায় রেখেই পিচ কিউরেটর জানান, ‘৭ বছর আগে এখানে উইকেট ফ্ল্যাট হতো। এরপর আমরা সবাই আলোচনায় বসি এবং স্থির করি উইকেটে ঘাস রাখা হবে, যাতে আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ খেলা দেখতে পারি। সেই থেকেই গত দু’বছর ধরে আমরা ৬ মিলিমিটার পুরু ঘাস রাখা শুরু করেছি। এখন আমাদের কাজ এটাই পুনরাবৃত্তি করা।’ 

ভারত-অস্ট্রেলিয়ার আগের তিন টেস্টের পিচেও বেশ বৈচিত্র দেখা গিয়েছিল। তাদের সব পিচই একটি অপরের চেয়ে আলাদা বলে উল্লেখ করেন এমসিজির পিচ বিশেষজ্ঞ, ‘এটাই (বৈচিত্রপূর্ণ পিচ) অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটের সৌন্দর্য। এখন অস্ট্রেলিয়ার প্রতিটি পিচই একে অপরের থেকে আলাদা। পার্থে পেস এবং বাউন্স ছিল, একটা সময় গরমে ফাটলও দেখা যায়। অ্যাডিলেডে গোলাপি বলে রাতে সুইং লক্ষ্য করা যায়।  গাব্বার (ব্রিসবেন) পিচ আবার দ্রুত এবং বাউন্সি ছিল। কিন্তু আমাদের এখানে সেরকম নয়। এখানে পার্থ ও ব্রিসবেনের মতো অতিরিক্ত পেস নেই। তাই আমাদের কাজ যতটা সম্ভব বেশি পেস এবং বাউন্স রাখা যায় তার চেষ্টা করা।’

ম্যাট পেজ আরও বলেন, ‘এটা কী আগের টেস্টের পিচের মতো হবে? না। এটাই অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটের সৌন্দর্য। তারা যখন এখান থেকে আবার সিডনিতে যাবে সেখানে স্পিন থাকবে। প্রতিটি পিচ একে অপরের থেকে আলাদা। তাই আমরা এই উইকেটে যত বেশি সম্ভব পেস এবং বাউন্স রাখার চেষ্টা করছি।’ 

মেলবোর্ন টেস্টে অস্ট্রেলিয়া একাদশ : উসমান খাজা, স্যাম কনস্টাস, মার্নাস লাবুশেন, স্টিভ স্মিথ, ট্রাভিস হেড, মিচেল মার্শ, অ্যালেক্স ক্যারি (উইকেটরক্ষক), প্যাট কামিন্স (ক্যাপ্টেন), মিচেল স্টার্ক, নাথান লায়ন ও স্কট বোল্যান্ড।

এএইচএস