দীর্ঘদিন ভারতের জাতীয় দলে খেলেছেন উইকেটরক্ষক ব্যাটার রবিন উথাপ্পা। ২০১৫ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সর্বশেষ খেললেও, এখনও বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে দেখা যায় তাকে। তবে সম্প্রতি ভিন্ন ঘটনায় খবরের শিরোনাম হয়েছেন উথাপ্পা।

তার বিরুদ্ধে প্রভিডেন্ট ফান্ডের (পিএফ) টাকা জালিয়াতির অভিযোগে করা মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। ভারতের সাবেক এই ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, নিজের সংস্থার কর্মীদের বেতন থেকে টাকা কাটলেও প্রভিডেন্ট ফান্ডে সেটি জমা দেননি।

২৩ লাখ টাকার বেশি প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে উথাপ্পার বিরুদ্ধে। উথাপ্পার দাবি, এই দুর্নীতির সঙ্গে তিনি যুক্ত নন। কারণ, যে সংস্থার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে, তিনি সেই সংস্থার সঙ্গে আর যুক্ত নন।

আত্মপক্ষ সমর্থনে উথাপ্পা জানিয়েছেন, তিনি ওই সংস্থার সঙ্গে আগে যুক্ত ছিলেন। কিন্তু অনেক বছর আগে সেই দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছেন তিনি। উথাপ্পা বলেন, ‘২০১৮-১৯ সালে আমাকে ওই সংস্থার ডিরেক্টর করা হয়েছিল। কারণ, আমি ওই সংস্থায় বিনিয়োগ করেছিলাম। ডিরেক্টর হলেও আমি সরাসরিভাবে কোনো দিন ওই সংস্থার কাজকর্মের মধ্যে যুক্ত ছিলাম না। কারণ, পেশাদার ক্রিকেটার, টেলিভিশনে কাজ ও ধারাভাষ্যের সঙ্গে যুক্ত থাকায় আমার সময় ছিল না। আমি আরও অনেক সংস্থার সঙ্গে যুক্ত। কিন্তু কোথায় আমি কোনো ভূমিকা পালন করিনি।’

উথাপ্পা জানিয়েছেন, তিনি ওই সংস্থায় যে আর্থিক বিনিয়োগ করেছিলেন, তা ফেরত পাননি। সেই কারণে তিনি নিজেই সংস্থার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। এই ক্রিকেটার আরও বলেন, ‘আমি যে টাকা ওই সংস্থায় দিয়েছিলাম তা ফেরত পাইনি। ফলে আমি নিজেই ওদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করেছিলাম। সেই মামলা এখন বিচারাধীন। বহু বছর আগে আমি ডিরেক্টরের পদ থেকে পদত্যাগও করেছি।’

বেঙ্গালুরুর ইন্দিরানগরে অবস্থিত অ্যাপারেল ব্র্যান্ড সেঞ্চারাস লাইফস্টাইল কোম্পানির মালিকানা রয়েছে ভারতের ২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপজয়ী এই ক্রিকেটারের। নিজের প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের ভবিষ্যৎ পিএফ ফান্ড থেকে ২৩ লাখ ৩৬ হাজার ৬০২ রুপি কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে উথাপ্পার বিরুদ্ধে। পরে তার নামে ভারতের প্রভিডেন্ট ফান্ড ও বিবিধ বিধান আইন–১৯৫২ অনুসারে মামলা করা হয়। সেই মামলায় বেঙ্গালুরুর প্রাদেশিক পিএফ কমিশনার সাদাক্ষারা গোপাল রেড্ডি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

এফআই