২৮ ম্যাচ দায়িত্ব পালনের পর অবশেষে অধিনায়ক হলেন স্যান্টনার
একে একে ২৮ ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের হয়ে অধিনায়কত্ব করেছেন স্যান্টনার। ২০২০ সাল থেকেই সময়ে-সময়ে দলের প্রয়োজনে টস করার, দল পরিচালনা করার দায়িত্বটা নিয়েছিলেন তিনি। তবে কখনৈ পূর্ণ মেয়াদে সেই দায়িত্বটা পালন করা হয়নি। সবশেষে মিচেল স্যান্টনারকে পুরোপুরি অধিনায়ক করলো নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট (এনজেডসি)। এখন থেকে সাদা বলে স্থায়ীভাবে কিউইদের অধিনায়ক তিনি।
এ পর্যন্ত ২৪টি টি-টোয়েন্টি ও ৪টি ওয়ানডেতে নিউজিল্যান্ডকে নেতৃত্ব দেওয়া স্যান্টনার চলতি মাসেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজে নিউজিল্যান্ডের পূর্ণকালীন অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব শুরু করবেন। আর আগামী বছর ফেব্রুয়ারি-মার্চে পাকিস্তানে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি হবে অধিনায়ক হিসেবে স্যান্টনারের প্রথম বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট।
বিজ্ঞাপন
পূর্ণকালীন দায়িত্ব পাওয়ার পর বেশ উচ্ছ্বসিত শোনা গেল স্যান্টনারকে, ‘আমার জন্য খুব সম্মানের এটি। ছেলেবেলায় স্বপ্ন ছিল নিউজিল্যান্ডের হয়ে খেলার, তবে আনুষ্ঠানিকভাবে দুই সংস্করণে দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ পাওয়াটা বিশেষ কিছুই। এটা নতুন চ্যালেঞ্জ, সাদা বলের ক্রিকেটে সামনের গুরুত্বপূর্ণ কিছু সময়ের কথা ভেবে আমি রোমাঞ্চিত।’
নিউজিল্যান্ডের কোচ গ্যারি স্টিড নতুন অধিনায়ক প্রসঙ্গে বলেন, মিচের (স্যান্টনার) টি-টোয়েন্টিতে অধিনায়কত্ব করার ভালো অভিজ্ঞতা আছে, এ ছাড়া গত মাসে ওয়ানডেতেও অধিনায়ক হিসেবে ভালো করেছে সে। দলকে কীভাবে নেতৃত্ব দিতে হয়, সেটি তার ভালোই জানা।’
তবে প্রতিষ্ঠিত অধিনায়ক হিসেবে পরিচিত টম ল্যাথামকে কেন বিবেচনা করা হয়নি তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন স্টিড, ‘টম ল্যাথাম তিন সংস্করণেই দারুণভাবে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছে। অক্টোবরে টেস্ট দলের পূর্ণকালীন অধিনায়ক হওয়ার পর অসাধারণ কাজ করেছে সে। আমরা চেয়েছি সে যেন ওই কাজটা পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে করতে পারে, সেটি নিশ্চিত করতে।’
স্যান্টনারের নেতৃত্বে নিউজিল্যান্ড এখন পর্যন্ত ২৪টি টি-টোয়েন্টির ১৩টিতে জিতেছে, হেরেছে ৯টিতে। ওয়ানডেতে চার ম্যাচে ১টি জয়, পরাজয় ২টিতে।
জেএ