খুব একটা বড় স্কোর দাঁড় করানো গেল না। শুরু থেকেই ছিল ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মিছিল। তার মাঝে বৃষ্টিটা যেন আশীর্বাদ হয়েই এসেছে বাংলাদেশের জন্য। বৃষ্টির পর থেকে ৬৭ রান জমা হয়েছে স্কোরবোর্ডে। ২০ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডে তাই ১২৯ রানের মান বাঁচানো এক সংগ্রহ। সিরিজ জেতার জন্য বাংলাদেশকে তাই আরও একবার নির্ভর করতে হবে বোলিং বিভাগের ওপর। 

ম্যাচের শুরু থেকেই বাংলাদেশের ওপর চেপে বসেছিল উইন্ডিজ বোলিং লাইনআপ। দলীয় রান ৫০ পেরুবার আগেই নেই দলের ৪ উইকেট। আরও একবার লাল-সনুজের ত্রাতা হয়ে আসেন লোয়ার মিডল অর্ডারের শামীম পাটোয়ারী। তার ২ চার ও ২ ছক্কায় ১৭ বলে ৩৫ রানের ইনিংসটাই শেষ অব্দি বাংলাদেশের বোলারদের খানিক লড়াই করার পুঁজি এনে দিয়েছে। 

ম্যাচের তৃতীয় ওভারেই প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। আকিল হোসেনের আঁটসাঁট বোলিংয়ে ৩ রান করে ফেরেন লিটন দাস। চতুর্থ ওভারে আরেক স্পিনার রোস্টন চেজ আক্রমণে এসেই পেয়েছেন তানজিদ হাসান তামিমের উইকেট। সাধারণ সুইং বুঝতে পারেননি তানজিদ। হয়েছেন বোল্ড।

পরের ওভারেই এলো এক চার এবং এক ছক্কা। মেহেদি হাসান মিরাজ দিলেন আগ্রাসী হওয়ার ইঙ্গিত। পরের ওভারেও ফের মিরাজ পেয়েছেন চার। কিন্তু ওইটুকুই। ২৬ রানে আউটের আগে আর কোন বাউন্ডারির দেখা মেলেনি মিরাজের ব্যাট থেকে। মাঝে দুইবার তিনি জীবন পেয়েছেন তবে আউট হয়েছেন সৌম্য সরকার। সরাসরি রানআউট হয়েছেন এই ওপেনার।  ১৮ বলে ১১ রানে সৌম্য রান আউট হয়ে ভেঙেছে ৩১ বলে ২৮ রানের ধীরগতির জুটি।

এই আউট দিয়েই পরপর ৩ ওভারে ৩ উইকেটের পতন দেখেছে বাংলাদেশ। পরের ওভারে আলজারি জোসেফকে পুল করতে গিয়ে আউট হন মিরাজ। তার পরের ওভারে গুদাকেশ মোতির বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন রিশাদ হোসেন। এরপরেই আসেন বৃষ্টি। তার আগে ১১.৫ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ হয় ৬২ রান। 

বৃষ্টি বাধার পর প্রথম আগ্রাসী হওয়ার ইঙ্গিত দেন জাকের আলী অনিক। ছক্কা মেরে বল ফেলেছিলেন প্রেসিডেন্ট বক্সের ওপর। মাঝে শেখ মেহেদি হাসান বোল্ড হয়েছেন মোতির বলে। সেখান থেকে শামীম পাটোয়ারী আরও একবার দায়িত্ব নিলেন দলের। ওবেদ ম্যাককয়কে দুবার ছক্কার মারে পরিণত করেছেন। শেষ ওভারে জোসেফের বল থেকে আদায় করেছেন ২ চার। তাতেই বাংলাদেশ পেয়েছে ১৩০ ছুঁইছুঁই স্কোর। 

জেএ