ক্রিকেট ম্যাচে আম্পায়ার কিংবা প্রতিপক্ষ ক্রিকেটারদের প্রতি বিরূপ আচরণের কারণে শাস্তি পাওয়ার অনেক নজির রয়েছে। আফগানিস্তানের পেস অলরাউন্ডার গুলবাদিন নাইব শাস্তি পেলেন ব্যতিক্রমী আচরণে। আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত মানতে না পেরে ‘রহস্যের হাসি’ হাসেন তিনি, একইসঙ্গে ডিআরএস নেই জেনেও রিভিউ’র আবেদন করায় তার আচরণ কোড অব কন্ডাক্ট লঙ্ঘনের অপরাধ বলে গণ্য হয়েছে।

আইসিসির কোড অব কন্ডাক্টের ২.৮ অনুচ্ছেদ লঙ্ঘনের কথা জানিয়েছে ম্যাচ ফি’র ১৫ শতাংশ জরিমানা হয়েছে গুলবাদিনের। একইসঙ্গে লেভেল-১ পর্যায়ের অপরাধ হিসেবে তার নামে যুক্ত হয়েছে একটি ডিমেরিট পয়েন্টও। আজ (শনিবার) এক বিবৃতিতে আইসিসি এই তথ্য জানিয়েছে। আফগান পেসারের আচরণ ‘আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে দ্বিমত পোষণ’ বলে উল্লেখ রয়েছে বিবৃতিতে।

গতকাল সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি হয় আফগানিস্তান ও জিম্বাবুয়ে। যেখানে একাদশ ওভারে রশিদ খানের বলে এলবিডব্লু আউট হয়ে যান জিম্বাবুয়ের ব্যাটার রায়ান বার্ল। পরের বলেই আবার টাশিঙ্গা মুসেকিওয়ার পায়ে আঘাতের পর তিনি এলবিডব্লু’র আবেদন করেন। আম্পায়ার তাতে সাড়া না দেওয়ায় কিছুটা কৌতুকের-সুরে হাসতে হাসতে মাথা নাড়েন গুলবাদিন নাইব। পরে আবার ডিআরএস নেই জেনেও তিনি রিভিউয়ের আবেদন করেন। সে কারণেই শাস্তি জুটল এই আফগান তারকার কপালে।

নাইব তার অপরাধ স্বীকার করে নেওয়ায় আর আনুষ্ঠানিক শুনানির প্রয়োজন পড়েনি। ম্যাচে বিরূপ আচরণের দায়ে তার শাস্তির কথা জানান আইসিসির এলিট প্যানেলের রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফট। এর আগে নাইবের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ আনেন দুই অনফিল্ড আম্পায়ার ল্যাঙটন রুসেরে ও ফরস্টার মুটিজওয়া, থার্ড আম্পায়ার ইকনো চাবি ও চতুর্থ আম্পায়ার পারসিভাল সিজারা।

সাধারণত লেভেল-১ পর্যায়ের অপরাধ করলে শাস্তি হিসেবে সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ জরিমানা ও এক কিংবা দুটি ডিমেরিট পয়েন্ট দেওয়া হতে পারে। তবে তুলনামূলক কম শাস্তিই পেয়েছেন গুলবাদিন নাইব। তার শাস্তি পাওয়ার ম্যাচটি অবশ্য আফগানরাই জিতেছে। আগে ব্যাট করে তাদের সংগ্রহ ছিল ১৫৩ রান, পরে লক্ষ্য তাড়ায় স্বাগতিক জিম্বাবুয়ে অলআউট হয়ে যায় মাত্র ১০৩ রানে। তাদের ৫০ রানের জয়ে সিরিজ বর্তমানে ১-১ সমতায় রয়েছে।

এএইচএস