আজ (বুধবার) থেকে মাঠে গড়াল এনসিএল টি-টোয়েন্টি লিগের প্রথম আসর। যেখানে প্রথম দিনেই সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন সিলেট বিভাগের হয়ে খেলা তরুণ ওপেনার জিসান আলম। সেঞ্চুরি পেলেও হেরেছে তার দল। পরবর্তীতে বিসিবির প্রকাশিত এক ভিডিওতে জিসানের সঙ্গে তার বাবা ও সাবেক ক্রিকেটার জাহাঙ্গীর আলমকে কথোপকথনে দেখা যায়। 

জাহাঙ্গীর ছেলের সেঞ্চুরি নিয়ে বলেন, ‘আমি পাশের মাঠে ছিলাম। টিম ম্যানেজারের কাছ থেকে পরে স্কোর জানছিলাম। পঞ্চাশ পর্যন্ত জানতে পেরেছি, এরপর ব্যস্ততার কারণে আর আপডেট নেওয়া হয়নি। আরও পরে জানলাম একশ রান করেছে। খুব ভালো লেগেছে। ছোটবেলা থেকেই আমি ওকে শিখিয়েছি, খুব ভালো লেগেছে (এমন ইনিংস দেখে)।’

ছেলের ক্রিকেটার হওয়া প্রসঙ্গে জাহাঙ্গীর বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই ও আমাকে ক্রিকেট খেলতে দেখে আসছে। এভাবে ওর মধ্যেও আগ্রহ জন্মায়। আমিও ওকে দেখে বুঝতে পারি যে ওর মধ্যে ক্রিকেটার হওয়ার ট্যালেন্ট আছে। এরপর থেকেই ওকে ক্রিকেটার বানানোর মিশনে নামি। ঘরেই ও মেন্টর পেয়ে যায়। ওর বন্ধুরাও আসে বাড়িতে। সবাই ক্রিকেট খেলে। বাড়িতে সারাক্ষণ ক্রিকেট নিয়েই আলোচনা হয়। বাড়ির সামনেই মাঠ। এটাও বড় সুবিধা।’

পরে জিসানও মুখোমুখি হন ক্যামেরার। ক্রিকেটার হওয়ার কৃতিত্ব তিনি বাবাকে দিলেন, ‘পুরো ক্রেডিট বাবাকেই দেবো। কারণ ছোটবেলা থেকেই ব্যাট ধরা থেকে শুরু করে পুরোটা সময়ই বাবা আমাকে এতদূর নিয়ে এসেছে। তিনি সবরকম সাপোর্ট দিয়েছেন। হাতে কাজ না থাকলেই আমাকে অনুশীলন করাতেন। নিজেই বল থ্রো করতেন, ঘণ্টার পর ঘণ্টা ব্যাটিং করতাম।’

এনসএল টি-টোয়েন্টির প্রথম ম্যাচে সিলেট বিভাগের হয়ে ওপেন করতে নেমে ১০ ছক্কায় সেঞ্চুরি হাঁকান জিসান। তার ৫২ বলে করা অসামান্য সেঞ্চুরি বাংলাদেশিদের মধ্যে চতুর্থ দ্রুততম। তার ব্যাটিংয়ের সুবাদে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ২০৫ রান করে সিলেট। তবে সেই রানও যথেষ্ট হয়নি। ইনিংসের শেষ বলে ছয় হাঁকিয়ে ৬ উইকেটের জয় পায় ঢাকা। তাদের হয়ে আরিফুল ইসলাম জিসানের চেয়েও বিধ্বংসী ইনিংসে ৪৬ বলে ২০৪.৩৫ স্ট্রাইক রেটে ৯৪ রান করে ফেরেন সাজঘরে। ঝোড়ো ইনিংসটিতে ৬টি চার ও ৮টি ছক্কার মার মেরেছেন। 

এসএইচ/এএইচএস