অ্যাডিলেড টেস্ট চলাকালে মাঠেই বিবাদে জড়িয়ে পড়েছিলেন ভারতীয় পেসার মোহাম্মদ সিরাজ এবং অস্ট্রেলিয়ার ট্র্যাভিস হেড। আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় দুই ক্রিকেটারকেই শাস্তি দিলো ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। তবে সিরাজের তুলনায় লঘু শাস্তি পেয়েছেন হেড। 

অ্যাডিলেড টেস্টের দ্বিতীয় দিনের আলোচনা ঘটনা বলতে গেলে হেড-সিরাজের বিতণ্ডা। ঘটনার সূত্রপাত হেডকে আউট করার পর সিরাজের উদযাপনকে কেন্দ্র করে। ভারতীয় পেসার হেডের উইকেট পাওয়ার পর তাকে ড্রেসিংরুমের দিকে চলে যাওয়ার ইঙ্গিত করেন। বিষয়টি পছন্দ হয়নি অজি ব্যাটারের। তিনি ড্রেসিংরুমে ফেরার সময় পাল্টা জবাব দেন। 

সেই ঘটনার রিপোর্ট ম্যাচ রেফারি রঞ্জন মাদুগালের কাছে জমা দেন আম্পায়াররা। সেটি যায় আইসিসির শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির কাছে। কমিটি দুই ক্রিকেটারকেই দোষী সাব্যস্ত করে। সেই অনুযায়ী, সিরাজকে ম্যাচ ফির ২০ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে। তাকে একটি ডিমেরিট পয়েন্ট দেওয়া হয়েছে। 

হেডের জরিমানা না হলেও ডিমেরিট পয়েন্ট এড়াতে পারেননি। তাকেও এক ডিমেরিট পয়েন্ট দেওয়া হয়েছে। মৌখিকভাবে সতর্ক করা হয়েছে দুই ক্রিকেটারকে। সিরাজের বিরুদ্ধে আইসিসির আদর্শ আচরণবিধির ২.৫ ধারা লঙ্ঘনের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। 

অন্যদিকে, হেডের তুলনামূলক লঘু শাস্তি হয়েছে। তিনি ২.১৩ ধারা লঙ্ঘনে অভিযুক্ত হয়েছেন। গত ২৪ মাসে দু’জনের বিরুদ্ধেই এমন কোনো অভিযোগ না থাকায় কাউকে নিলম্বিত (সাসপেন্ড) করা হয়নি। তবে আগামী ২৪ মাস সিরাজ এবং হেড দু’জনেই থাকবেন আইসিসির নজরদারিতে।

আসলেই কী হয়েছিল সেদিন

ট্রাভিস হেডের উইকেট পাওয়ার পর সিরাজ যেভাবে উদযাপন করেছেন, সেটি নিয়ে কম সমালোচনায় পড়তে হয়নি এই ভারতীয় পেসারকে। এমনকি সিরাজের নিজ দেশের কিংবদন্তি সুনীল গাভাস্কারও অনেকটাই বিরক্তি প্রকাশ করেছিলেন এই পেসারের প্রতি। 

পরে হেডই জানান দুজনের মাঝে আসলে কী হয়েছিল। আউটের পর মূলত ভুল বোঝাবুঝি থেকেই এমন সমস্যার শুরু। আর হেড প্রশংসা করলেও তা বুঝতে পারেননি সিরাজ, ‘আউটের পরেই আমি সিরাজকে বলেছিলাম, বেশ ভালোই বল করেছ। কিন্তু সে বিষয়টাকে অন্যভাবে বুঝেছে। যেভাবে পুরো বিষয়টা প্রকাশ হলো, তাতে আমি কিছুটা হতাশ।’ 

এরপরেই ভারতকে প্রচ্ছন্ন হুমকি দিয়ে হেড বলছিলেন, ‘যা হবার হয়ে গেছে। ওরা যদি এভাবেই প্রতিক্রিয়া দেখাতে চায় আর এমন করেই নিজেদের উপস্থাপন করে তাহলে আমাদের পক্ষ থেকেও তাইই হবে।’  

এফআই