গোলাপি বলের টেস্ট মানেই অস্ট্রেলিয়ার রাজত্ব। এই কথা এখন অবধারিতভাবেই বলা চলে। অজিরা এখন পর্যন্ত দিবারাত্রির টেস্ট খেলেছে মোট ১৩টি। তার মাঝে ১২টিতেই ফল গিয়েছে তাদেরই পক্ষে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের শামার জোসেফের অসামান্য স্পেলের কাছে চলতি বছরেই তারা হেরেছে গোলাপি বলের একমাত্র টেস্ট। 

দিবারাত্রির টেস্ট মানেই পেসারদের দাপট। অ্যাডিলেডেও তাইই ঘটল। মাত্র আড়াইদিনেই শেষ হয়েছে ম্যাচ। যেখানে অনেকটা হেসে খেলেই ১০ উইকেটের জয় তুলে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। তাতে বোর্ডার-গাভাস্কার সিরিজেও এসেছে সমতা। সঙ্গে অবশ্য নিজেদের শক্ত প্রতিপক্ষ ভারতকেও নতুন লজ্জায় ডুবিয়েছে তারা। 

অ্যাডিলেডে ভারতকে হারাতে অস্ট্রেলিয়া খেলেছে মোটে ১ হাজার ৩১ বল। এত কম বলে অস্ট্রেলিয়া কখনো ভারতকে হারায়নি। দুই দলের লড়াইয়ে এর আগে সবচেয়ে কম বলের ম্যাচ ছিল ২০২৩ সালের ইন্দোর টেস্ট। সেবারে খেলা হয়েছিল ১ হাজার ১৩৫ বল।

আর প্রতিপক্ষকে গুড়িয়ে দিতে বড় ভূমিকাই রেখেছেন অস্ট্রেলিয়ার পেসাররা। দুই ইনিংস মিলিয়ে ২০ উইকেটই পেয়েছেন পেসাররা। প্যাট কামিন্স, মিচেল স্টার্ক এবং স্কট বোল্যান্ডরা বল করেছেন ৪৭৪ বল। আর একমাত্র স্পিনার নাথান লায়ন হাত ঘুরিয়েছেন কেবল ১ ওভার। পেসাররা সব উইকেট নিয়েছেন এমন ম্যাচের বিচারে এটাই ভারতের সবচেয়ে কম বল খেলার নতুন কীর্তি।

আর দলীয় লজ্জার পাশাপাশি অধিনায়ক রোহিত শর্মাও নাম তুলেছেন অনাকাঙ্ক্ষিত এক তালিকায়। ভারতের অধিনায়ক হিসেবে টানা ৪ টেস্ট হেরেছেন তিনি। যা তাকে নিয়ে গেছে দেশটির হয়ে টানা টেস্ট হার দেখা অধিনায়কদের মধ্যে ৩য় স্থানে। যেখানে অবশ্য তার সঙ্গী মহেন্দ্র সিং ধোনি, বিরাট কোহলির মতো অনেকেই। অবশ্য এরচেয়ে বেশি হারের নজিরও আছে। 

যত কীর্তি অ্যাডিলেডে 

  • অস্ট্রেলিয়া-ভারতের মধ্যেকার ম্যাচে সবচেয়ে কম বল (১০৩৫) 
  • ভারতের বিপক্ষে সবচেয়ে কম বলে (৪৮০ বল) পেসারদের ২০ উইকেট শিকার 
  • টানা ৪র্থ টেস্ট হার অধিনায়ক রোহিত শর্মার (ভারতীয় অধিনায়কদের মধ্যে ৩য়)

এদিকে শেষ পাঁচটি টেস্টের চারটিতে হেরে পরিস্থিতি কঠিন করে ফেলেছেন রোহিতেরা। টেস্ট বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট তালিকায় তৃতীয় স্থানে নেমে গিয়েছে ভারত। প্রথম দু’টি স্থানে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া এবং দক্ষিণ আফ্রিকা। ভারতের হাতে রয়েছে আর তিনটি টেস্ট। সব ম্যাচই খেলতে হবে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে।

ফাইনাল খেলার স্বপ্ন সফল করতে হলে ভারতের আর কোনও ম্যাচ হারা চলবে না। বাকি তিনটি টেস্টের দু’টিতে জিততেই হবে রোহিতদের। একটি ড্র করলেও সুযোগ থাকবে। কিন্তু কোনও ম্যাচ হারলেই সম্ভাবনা শেষ হয়ে যেতে পারে।

জেএ