আয়ারল্যান্ডের কাছে টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারল বাংলাদেশ
ওয়ানডে সিরিজে আয়ারল্যান্ড নারী দলকে হোয়াইটওয়াশ করেছিল বাংলাদেশ নারী দল। তবে টি-টোয়েন্টি রীতিমতো ছেড়ে দে মা, কেঁদে বাচি অবস্থা টাইগ্রেসদের! সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে আইরিশদের কাছে পাত্তাই পেলো না নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। টানা দুই জয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করেছে আয়ারল্যান্ড।
সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৩৪ রান সংগ্রহ করে আয়ারল্যান্ড। জবাবে খেলতে নেমে ১৭ ওভার ১ বলে অলআউট হওয়ার আগে ৮৭ রানের বেশি করতে পারেনি বাংলাদেশ।
বিজ্ঞাপন
১৩৫ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরু থেকেই উইকেট হারাতে থাকে বাংলাদেশ। মাত্র ২২ রানের মধ্যে উপরের সারির ৪ ব্যাটারকে হারায় তারা। পঞ্চম উইকেটে শারমিন আক্তার সুপ্তা ও স্বর্ণা আক্তার মিলে যোগ করেন ৪৮ রান।
তবে এই দুজনের বিদায়ের পর আবারও শুরু হয় ব্যাটারদের আসা যাওয়া। শারমিন আউট হন ৪৩ বলে ৩৮ রান করে। আর স্বর্ণার ব্যাট থেকে আসে ২১ বলে ২০ রান।
বাংলাদেশের ব্যাটিং অর্ডারের আর কেউই দুই অঙ্কে পৌঁছাতে পারেননি। আয়ারল্যান্ডের হয়ে ওরলা প্রেন্ডারগাস্ট নেন ৩টি উইকেট। দুটি করে উইকেট নিয়েছেন আরলেনা কেলি ও লরা ডেলানি। বাকি একটি উইকেট গেছে আলানা ড্যাজেল।
এর আগে আয়ারল্যান্ডের শুরুটা ভালোই করেছিলেন দুই ওপেনার গ্যাবি লুইস এবং অ্যামি হান্টার। গ্যাবি অবশ্য খানিক ধীরগতিরই ছিলেন। ১৪ রান করতে গিয়ে খেলেছিলেন বেশ অনেকটা ডটবল। কিছুটা গতি বাড়াতে গিয়েই নাহিদা আক্তারের বলে দিয়েছেন ক্যাচ। দিলারার দুর্দান্ত রিফ্লেক্সের কারণেই সাজঘরে ফিরতে হয় আইরিশ অধিনায়ককে।
অ্যামি হান্টারও খানিক পরেই ফেরেন। ২৩ বলে ২৩ রান করে দলের বড় স্কোরের ভিত গড়ে দেন তিনি। তবে ওরলা প্রেডেনগ্রাস্টই ছিলেন আজকের বড় স্কোরার। ২৫ বলে ৩২ রানের কার্যকরী একটা ইনিংস আসে ওয়ানডাউনে নামা এই ব্যাটারের কাছ থেকে। প্রেডেনগ্রাস্ট ফিরিয়ে আইরিশদের লাগাম টেনে ধরেন নাহিদা। আর অ্যামির উইকেট পেয়েছিলেন জান্নাতুল ফেরদৌস।
১৩তম ওভার থেকেই খানিক ধীর হয়ে পড়ে আইরিশদের রানের গতি। একের পর এক ডট বল খেলেছেন ক্রিজে থাকা ব্যাটাররা। শেষ পর্যন্ত বড় স্কোর আর করা হয়নি তাদের। ৫ উইকেট হারিয়ে ১৩৪ রানেই থেমে যায় সফরকারীরা।
বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী নাহিদা। ২০ রান খরচায় ২ উইকেট তার। ১টি করে উইকেট পেয়েছেন জান্নাতুল ফেরদৌস, ফাহিমা এবং জাহানারা আলম।
এইচজেএস