আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়ার আগে থেকেই ঘরোয়া টুর্নামেন্টে পরামর্শকের দায়িত্ব পালন করেছেন পাকিস্তানের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি-জয়ী সাবেক অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ। জাতীয় দলে তার সময়টা ফুরিয়ে আসছে সেটি তারও অজানা নয়। তাই হয়তো পেশাদার ক্রিকেট পরবর্তী দায়িত্ব বেছে নিতে দ্বিতীয়বার ভাবেননি। তবে কবে নাগাদ এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলবেন, তারই ইঙ্গিত দিলেন এবার।

গতকাল (শুক্রবার) এক সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তানের চ্যাম্পিয়ন্স কাপের দল ডলফিন্সের পরামর্শক হিসেবে হাজির হন সরফরাজ। সেখানেই তার ক্রিকেট ক্যারিয়ারের ভবিষ্যৎ নিয়ে জানতে চাওয়া হয়। জবাবে অবসরের ‘আর কিছু বাকি নেই’ বলে জানান সাবেক এই পাক অধিনায়ক। রাওয়ালপিন্ডি স্টেডিয়ামে সরফরাজের অধীন ডলফিন্স-সহ পাঁচটি দল ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে অংশ নেবে।

অবসরের প্রশ্নে সরফরাজ বলেছেন, ‘দেখুন আমি আমার ক্যারিয়ার নিয়ে যতটা সম্ভব সচেতন। আমার মনে হয় নিজ থেকে বলার প্রয়োজন নেই। (অবসর ঘোষণার) কিছুই বাকি নেই, আমি জানি আপনারা কিসের জন্য অপেক্ষা করছেন এবং খুব শিগগিরই সেটি ঘটবে।’ নির্দিষ্ট সময় না জানালেও, সরফরাজ ক্রিকেটকে যে দ্রুত সময়েই বিদায় বলবেন সেটি অনেকটা নিশ্চিত হওয়া গেল!

২০০৭ সালে পাকিস্তানের জার্সিতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় সরফরাজের। এরপর জাতীয় দলে তিনি ৫৪ টেস্ট, ১১৭ ওয়ানডে এবং ৬১টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন। ৩২ ফিফটি ও ৬ সেঞ্চুরিতে তিনি সবমিলিয়ে করেছেন ৬১৬৪ রান। এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার ২০১৭ সালে পাকিস্তানের আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ের সময় অধিনায়কত্ব করেছেন। যেখানে তার দল চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতকে ১৮০ রানে হারিয়ে বৈশ্বিক এই প্রতিযোগিতায় শিরোপা জিতে।

পাকিস্তানকে ধারাবাহিকভাবে ১১টি টি-টোয়েন্টি সিরিজে নেতৃত্ব দিয়েছেন সরফরাজ। যা কোনো পাকিস্তানি অধিনায়কের হিসাবে সর্বোচ্চ। যদিও তিনি অনেকদিন ধরেই জাতীয় দলে অনিয়মিত হয়ে পড়েন। গত বছর সর্বশেষ অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে হওয়া টেস্ট সিরিজে পাকিস্তানের জার্সি গায়ে জড়ান তিনি। প্রথম টেস্টে মাত্র ৭ রান করার পর আর একাদশে সুযোগ মেলেনি সরফরাজের। সাদা বলের ক্রিকেটে তিনি সর্বশেষ ২০২১ সালে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন।

এএইচএস