নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্ট হারায় বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের সমীকরণ কঠিন হয়ে যায় ইংল্যান্ডের। এরপর স্লো ওভার রেটের কারণে আরো ৩ পয়েন্ট হারায় ইংলিশরা। যে কারণে ফাইনালের দৌড়ে বেশ পিছিয়ে পড়েছে বেন স্টোকসের দল।

স্লো ওভার রেটের কারণে আইসিসির এমন শাস্তির সমালোচনা করেছেন স্টোকস। তার মতে, স্লো ওভার রেটের এই নিয়ম পুনর্বিবেচনা করা উচিত। বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা খেলোয়াড়দের সঙ্গে ঠিকঠাক যোগাযোগ রক্ষা করছে না বলেও অভিযোগ তর।

স্টোকস বলেছেন, ‘দুই দলের দৃষ্টিকোণ থেকেই সবচেয়ে হতাশাজনক বিষয় হলো ম্যাচ আগেই শেষ হয়েছে এবং ফল এসেছে (এরপরও শাস্তি দেওয়া হলো)। হতাশা আসলে গত বছরের অ্যাশেজেই ডালপালা মেলেছিল। সে সময়ই আমি প্রথমবারের মতো বিষয়টি (স্লো ওভার রেটে জরিমানার নিয়ম) ম্যাচ রেফারি ও আম্পায়ারদের সামনে তুলে ধরেছিলাম।’

উপমহাদেশের উইকেট সাধারণত স্পিন সহায়ক হয়। ফলে এখানে বেশিরভাগ ওভার করেন স্পিনাররা। তবে ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ডের মতো দেশে পেস বান্ধব উইকেট থাকে। ফলে এখানে পেসাররা বেশি বোলিং করেন। আর স্পিনারদের তুলনায় পেসারদের সময় খানিকটা বেশি লাগে। এ দিকটাও বিবেচনায় আনতে বলছেন স্টোকস।

তিনি বলেন, ‘আপনি বিশ্বের কোথায় আছেন (খেলছেন), সেটার ওপর নির্ভর করে। এখানে (যেখানে বেশি পেসার খেলানো হয়) এটা সব সময় একটি সমস্যা। এশিয়ায় ওভার রেট কোনো সমস্যা সৃষ্টি করে না। কারণ, সেখানে অনেক স্পিনার খেলানো হয়।’

‘ফিল্ডিংয়ের সময় অনেক কৌশলগত সিদ্ধান্ত নিতে হয়। বোলারের সঙ্গে ফিল্ডারদের জায়গা বদল নিয়ে আলোচনা করতে হয়। অধিনায়ক হওয়ায় আমাকে এই কাজ বহুবার করতে হয়। কখনো কখনো ওভারের ছয় বলেই ফিল্ডার সাজাতে হয়। কিন্তু তারা (আইসিসি) এটাকে বিবেচনায় নেয় না। তারা শুধু তাড়াতাড়ি বল করতে বলে। কিন্তু তাড়াহুড়া করলে তো চলবে না। কারণ, আমরা মাঠে খেলতে নেমেছি’—যোগ করেন তিনি।

এইচজেএস