কিছুটা আগেভাগেই হয়ে যায় এমন মন্তব্য। তবে বাংলাদেশ যে কিংস্টনে মানসিকভাবে অনেকটাই এগিয়ে থাকছে তা অনেকাংশে নিশ্চিত। বেশ অনেকটা দিন পরেই বাংলাদেশের ক্রিকেটে সাদা পোশাকে দেখা গেল আগ্রাসী এক দিন। ৫ উইকেটে ১৯৩ রান নিয়ে দিন শেষ করেছে বাংলাদেশ। স্কোরবোর্ডে লিড এখনই ২১১। 

দিনশেষ করেছিলেন জাকের আলী অনিক এবং তাইজুল ইসলাম।  ২৯ রানে ক্রিজে অপরাজিত জাকের আলী। ৯ রানে অন্য প্রান্ত আগলে রেখেছেন তাইজুল ইসলাম। ষষ্ঠ উইকেটে দুজনে ৪৭ বলে ২০ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে মাঠ ছাড়েন।  

দ্বিতীয় ইনিংসে এখন পর্যন্ত ব্যাট করতে নামেননি মুমিনুল হক। অসুস্থ বোধ করায় তাকে ড্রেসিংরুমেই থাকতে হয়েছে। চেহারাই বলে দিচ্ছিল শারীরিকভাবে খুব একটা স্বস্তিতে নেই তিনি। কিন্তু চতুর্থ দিনে প্রয়োজন হলে মাঠে দেখাও যেতে পারে তাকে। বাংলাদেশের লিড আরও বাড়বে সেটা সহজেই বলা চলে। 

যদিও লিডের এই সংখ্যাটাই বাংলাদেশকে কিছুটা মানসিকভাবে এগিয়ে রাখছে তৃতীয় দিনের শেষেই। বার্বাডোজের এই স্টেডিয়ামে যে চতুর্থ ইনিংসে ২১২ রানের বেশি লক্ষ্য নিয়ে কেউ কখনো টেস্টই জেতেনি। সর্বোচ্চ ২১২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে জয়ের নজির আছে। ২০০৩ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এই লক্ষ্য তাড়া করেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

এই মাঠে ২০০ এর বেশি রান তাড়া করে জেতার নজিরই আছে কেবল ২টি। ২০১২ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২০৬ রানের লক্ষ্য পার করেছিল স্বাগতিকরা। এছাড়া ১৫০ এর বেশি রানতাড়া করে জেতার নজির আছে দুইটি। ১৯৮৩ সালে ভারত এবং ২০২১ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে।

কিংস্টনে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয় 

২১২/৩ - ওয়েস্ট ইন্ডিজ; প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা (২০০৩) 
২০৬/৫ - ওয়েস্ট ইন্ডিজ; প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ড (২০১২) 
১৭২/৬ - ওয়েস্ট ইন্ডিজ; প্রতিপক্ষ ভারত (১৯৮৩) 
১৬৮/৯ - ওয়েস্ট ইন্ডিজ; প্রতিপক্ষ পাকিস্তান (২০২১) 

 

জ্যামাইকার এই টেস্টেও রান ওঠেনি খুব একটা। বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে করতে পেরেছিল ১৬৪ রান। বিপরীতে ক্যারিবিয়ানরা গুটিয়ে যায় ১৪৬ রানে। বাংলাদেশ লিড পায় ১৮ রানে। সেটাই পরবর্তীতে দ্বিতীয় ইনিংসে ছিল লিড নেয়ার পথে বড় সহায়ক। 

জেএ