পুরো দিনেই রান হয়েছে মোটে ১৬৫। জ্যামাইকা টেস্টে দ্বিতীয় দিনে রানখরা ঠিক কেমন ছিল, সেটা পরিষ্কার হয়ে যায় ওখানেই। বল হাতে দিনটা ছিল পেসারদেরই। স্বাগতিকদের হয়ে শামার জোসেফ এবং জেইডেন সেইলস ছিলেন দুর্দান্ত। দ্বিতীয় দিনের সকালে বাংলাদেশের সর্বনাশটা করেছিলেন এই দুই বোলার। আর বাংলাদেশের হয়ে পিচে আগুন ঝড়িয়েছিলেন গতি তারকা নাহিদ রানা। 

তবে এরমাঝে সেইলসের বোলিংটাই আলোচনায় এসেছে আলাদা করে। দুর্দান্ত এক স্পেল করেছেন কিংস্টনের স্যাবাইনা পার্ক স্টেডিয়ামে। দিয়েছেন ১০ মেইডেন। পেয়েছেন ৪ উইকেট। দিয়েছেন মোটে ৫ রান। সঙ্গে একবিংশ শতকে এসে সবচেয়ে ইকোনমিক্যাল বোলিংয়ের রেকর্ডও নিজের করে নিয়েছেন এই ক্যারিবিয়ান বোলার।   

প্রথম দিনে সেইলস বল করেছিলেন মোট সাত ওভার। তার মাঝে মেইডেন দিয়েছেন ৬ টি। দ্বিতীয় দিনে এসে করেছেন ৮.৫ ওভার। তাতে ৩ রান দিয়ে নিয়েছেন ৪ উইকেট। লিটন দাস ও মেহেদি হাসান মিরাজকে ফিরিয়ে বাংলাদেশের মিডলঅর্ডারের মেরুদণ্ড ভেঙেছেন। আর শেষে এসে তাসকিন আহমেদ ও নাহিদ রানার উইকেট নিজের ঝুলিতে পড়েছে। 

সবমিলিয়ে টাইগারদের বিপক্ষে সেইলসের ইকোনমি ছিলো শূন্য দশমিক তিন এক ছয়। একবিংশ শতাব্দীর টেস্টে এক ইনিংসে এটাই সবচেয়ে কিপ্টে বোলিং। এর আগে এই রেকর্ডের মালিক ছিলেন উমেশ ইয়াদাভ। ২০১৫ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২১ ওভারের স্পেলে তার ইকোনমি ছিলো শুন্য দশমিক চার দুই নয়। 

টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসে অবশ্য সেইলসের এই বোলিং ফিগার বেশ পিছিয়েই আছে। এই তালিকায় স্থানটা দখল করে আছেন ভারতের স্পিনার রমেশচন্দ্র নাদকার্নি। ১৯৬৪ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওভার প্রতি মাত্র শুন্য দশমিক এক পাঁচ রান দিয়েছিলেন এই ভারতীয়। ৩২ ওভার বল করে মেইডেন নিয়েছিলেন ২৭ টিতে। রান দিয়েছিলেন মাত্র পাঁচ। 

নাদকার্নি তালিকার তিনেও আছেন। দুইয়ে আছেন সেইলসেরই দেশের কিংবদন্তি স্যার গ্যারি সোবার্স। ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা এই অলরাউন্ডার ১৯৫৬ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্টে ১৪ ওভার বল করে ১১ ওভারেই রেখেছিলেন মেইডেন। 

জেএ