সামনেই আইসিসির বড় আসর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। যেখানে নির্ধারিত আয়োজক পাকিস্তান। আর তাতে আছে ভারতের আপত্তি। পাকিস্তানে ভারত খেলতে যাচ্ছে না নিশ্চিত, পাকিস্তানও নিজেদের স্বত্ত্ব অন্য কোথাও নিয়ে টুর্নামেন্ট আয়োজনে আগ্রহী নয়। ক্রিকেটের ইতিহাসের অন্যতম বড় দুই দলের অবস্থান একেবারেই মুখোমুখি। সঙ্কট কাটাতে আইসিসিই এখন ভরসা। 

বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রকের সেই সর্বোচ্চ বিন্দুতে এবার বসেছেন এক ভারতীয়। আগেই নির্ধারিত ছিল গ্রেগ বার্কলে সরে গেলে আইসিসির চেয়ারম্যান হচ্ছেন জয় শাহ। আজ ১ ডিসেম্বর থেকে শুরু করেছেন নিজের দায়িত্ব। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে চলমান সংকটের মাঝেই নিজের দায়িত্ব শুরু করেছেন জয় শাহ। 

মাত্র ৩৬ বছর বয়সেই আইসিসির সর্বোচ্চ ব্যক্তিত্বের এই চেয়ারে বসেছেন জয় শাহ। সংস্থার ইতিহাসে তারচেয়ে কম বয়সে কেউই চেয়ারম্যানের পদে আসেননি। এই পদে আসার আগে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) এর সদস্য সচিবের পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। সেই পদে কে তার জায়গায় আসবেন তা এখন পর্যন্ত নিশ্চিত নয়। 

আইসিসি চেয়ারম্যানের পদ ছাড়াও এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি) এবং আইসিসির ফিন্যান্স ও কর্মাশিয়াল অ্যাফেয়ার্স কমিটির প্রধানের দায়িত্বটাও পালন করছেন জয় শাহ। সবশেষ চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে নিজের এমন নেতৃত্বগুণের কারণে বিনা ভোটেই নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। 

২০২৮ সালে লস অ্যাঞ্জেলস অলিম্পিক্স গেমস ও মেয়েদের ক্রিকেটের দিকে জোর দেওয়ার কথা বলেছেন তিনি। জয় বলেন, ‘আমি আইসিসির চেয়ারম্যান হিসেবে বসতে পেরে গর্বিত এবং আইসিসির কর্তাদের কাছে কৃতজ্ঞ আমার উপর ভরসা রাখার জন্য। এটা ক্রিকেটের জন্য দারুণ সময় কারণ আমরা ২০২৮ সালে অলিম্পিক্সের জন্য তৈরি হচ্ছি। এরফলে বিশ্বের আরো অনেক সমর্থকই আমাদের সঙ্গে যুক্ত হবেন।’ 

জয় শাহ আরও বলেন, ‘বিভিন্ন ফরম্যাটের সমান জনপ্রিয়তা অর্জন এবং নারীদের ক্রিকেটের দ্রুত বৃদ্ধি এই মুহূর্তে বড় চ্যালেঞ্জ। ক্রিকেটের বিশ্বব্যাপী সম্ভাবনা অপরিসীম, এবং আমি আইসিসি দল ও সদস্য দেশগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার অপেক্ষায় আছি, যাতে খেলাটিকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া যায়।’

জয় শাহের আগে আইসিসির চেয়ারম্যানের পদে ছিলেন গ্রেগ বার্কলে। ২০২০ সালের নভেম্বর থেকে এই পদে ছিলেন নিউজিল্যান্ডের এই ক্রিকেট সংগঠক। তার মেয়াদ শেষে ৫ম ভারতীয় হিসেবে আইসিসির সর্বোচ্চ চেয়ারে বসলেন জয় শাহ। তার আগে এই পদে ছিলেন– জাগমোহন ডালমিয়া, শারাদ পাওয়ার, এন শ্রীনিবাসন ও শাশাঙ্ক মানোহার।

জেএ